আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেললাইন দিয়ে ঢাকা থেকে শিলিগুলি ট্রেন চলাচল শুরু হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন।
শনিবার (১৪ নবেম্ভর) দুপুরে নীলফামারীর চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ীর মধ্যে সংযোগস্থল (জিরোপয়েন্টে) পরিদর্শন শেষে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ওই কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, এই ট্রেন চলাচল বহুদিন আগেই শুরু হতো। কিন্তু দীর্ঘ্যসময়ে স্বাধীনতাবিরোধী ও ভারত বিদ্বেষীরা ক্ষমতায় থাকার কারণে তা চালু হয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর পুনরায় এ লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের উদ্দ্যেগ নেয় দুই দেশের সরকার। আর কিছুদিনের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে।
এসময় রেলপথ নির্মানকালে রেল লাইনের ধারে থাকা উচ্ছেদ করা ৭৮ টি পরিবারের কয়েকশত সদস্য মন্ত্রীর কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবী জানালে, রেল মন্ত্রী তাদের সহযোগীতার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক হাফিজুল রহমান চৌধরী, ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা শবনম, ৫৬ বিজিবির অধিনায়ক মায়মুনুল রহমান, রেলের পশ্চিম জনের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন, সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন, বিভাগীয় রেল কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক আবদুর রহিম প্রমূখ।
রেলওয়ে সূত্র মতে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাক-ভারত বিভক্তের পরও এপথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করতো যাত্রি ও মালবাহি ট্রেন। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল। পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেয় শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী সরকার। রেলপথটি চালু করতে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার। প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ ও দুই দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মানসহ অন্যান্য অবকাঠামো। কাজ ইতোমধ্যে প্রায় সমাপ্ত হয়েছে। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেল স্টেশন চত্বরে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।