নির্বাচনের তারিখ নিধারন না হলেও শেরপুরের নকলা পৌর নির্বাচনকে ঘিরে এরইমধ্যে শুরু হয়েছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনসংযোগ। থেমেনেই কাউন্সিলায় প্রাথীরাও। এখন অধিকাংশ সম্ভাব্য প্রার্থীই দলীয় মনোনয়ন পাবার আশায় স্থানীয় ও দলীয় হাই কমাডে দৌড়ঝাঁপ করছেন। নকলা পৌরসভার সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করে দিয়েছেন বিভিন্ন তৎপরতা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আর শহরের বিভিন্ন মোড় ও রাস্তায় কেউ কেউ নিজের ছবি সম্বলিত দলীয় প্রধানের ছবি ফেস্টুন ও ব্যানার টাঙিয়ে দিয়েছে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
এপর্যন্ত আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নামশোনা যাচ্ছে তারা হলেন, বর্তমান পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান লিটন, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান,সাবেক ছাত্র নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী উৎপল, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খলিলুর রহমান,পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মীজা জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, যুব নেতা আক্রাম হোসেন ,সাবেক প্যানেলমেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ন সম্পাদক ফারুক হোসেন ,সাবেক ছাত্রনেতা মনির হোসেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক শাহ্ মো: ফুয়াদ হোসেন ও সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়েদা উম্মে কুলসুম রেনু। অপর দিকে বিএনপির মনোনয়ন লাভে যারা চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা হলেন, সাবেক ছাত্র নেতা এনামুল হক রিপন ও সাবেক প্যানেলমেয়র আনোয়ার হোসেন।আওয়ামীলীগের দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাকে বিজয়ী করার জন্য আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে। এখন থেকেই ভোটারা ভোটের অঙ্ক কষছেন। এদিকে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ে করার জন্যও নেতা কর্মীরা আপ্রান চেষ্টা করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সন্ধ্যায় পর বিভিন্ন হোটেলে চা-চক্রে অংশ নিতে দেখা যাচ্ছে প্রার্থী ও তার সমর্থকদের।পাশাপাশি বৃহত্তর দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রতাশী প্রাথীরা নিজ নিজ দলের হাই কমান্ডের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। এবার কোন প্রার্থীকে পৌরপিতার মুকুট পরানো যায় তা নিয়ে চলছে ভোটরদের মাঝে নানা সমীকরণ। কে হবেন নকলা পৌরসভার পৌরবতি। এ নিয়ে এখন থেকেই ভোটার দের মাঝে চলছে নানা জলপনা কল্পনা।