ময়মনসিংহ নগরীর আর.কে মিশন রোডে একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মানুষের ১২টি মাথার খুলি ও দুই বস্তা হাড়, তরল ও দানাদার পাউডার ক্যামিকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসমসয় গ্রেপ্তার করা হয় বাপ্পি নামে এক কঙ্কাল পাচারকারীকে। শনিবার গভীর রাতে এগুলো উদ্ধার করা হয়। বাপ্পি নগরীর কালিবাড়ি কবরখানা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। পুলিশের ধারনা এগুলো বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে বাসায় মজুদ করা হয়েছিল।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকাদার জানান, শনিবার কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশের কাছে খবর আসে ময়মনসিংহ নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন রোডের একটি বাসায় পাচারের উদ্দ্যেশে মজুদ করা হয়েছে মানুষের কঙ্কাল। পরে রাত ২টা দিকে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে আটক করা হয় বাপ্পি (৩০) নামে এক যুবককে। এ সময় বাপ্পির হেফাজতে থাকা কার্টুন ভর্তি ১২টি মানবদেহের মাথার খুলি দুই বস্তা হাড় উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে মৃতদেহ দ্রুত প্রক্রিয়াজাত করে কঙ্কাল করার দুই কন্টিনার ক্যামিকেল সাদা রঙ্গের দানাদার ক্যামিকেলও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরও জানায়, বাপ্পি দীর্ঘদিন ধরে কঙ্কালের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ইতোপূর্বে সে একবার কঙ্কালসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই মামলায় ছয় মাস জেলও খেটেছেন। পরে ছাড়া পেয়ে আবারও তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বাপ্পিসহ একটি বড় চক্র কঙ্কাল চুরির সঙ্গে জড়িত। চক্রটি নিষ্ঠুর ভাবে কবরস্থান থেকে মরদেহগুলো চুরি করে। পরে ক্যামিকেলের মাধ্যেম প্রক্রিয়াজাত করে। পরে সেগুলো দেশিয় ক্রেতার পাশাপাশি দেশের বাইরেও বিক্রি হতো। তাছাড়াও বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছেও বিক্রি করা হতো এসব কঙ্কাল।
প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে বাপ্পি কঙ্কাল চুরি ও পাচারের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। দুএকদিনের মধ্যে হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে পাশ্ববর্তী দেশে পাচারের কথা ছিলো কঙ্কালগুলো।
পুলিশ কঙ্কাল পাচারকারী চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।