জীবন ঝুঁকি দেখিয়ে স্বামী পক্ষ কর্তৃক জোরপূরবক আদায় করা দুই সেট খালি স্টা¤প ও ব্যাংক চেক তল্লাশি করতে আদালতে আবেদন করেছে এক গৃহবধূ। এ-সংক্রান্ত ব্যাপারে পরোয়ানা ইস্যু করতে তিনি জেলা ম্যাজিসট্রেট আদালত, কক্সবাজার বরাবরে এ আবেদন দিয়েছেন। আবেদনকারীনী ঈদগাঁও ভোমরিয়াঘোনা মন্ডলপাড়া ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উবায়দুল হকের মেয়ে। সমপ্রতি তিনি তার স্বামী, শশুর ও তাদের এলাকার এক জনপ্রতিনিধিকে বিবাদী করে এ আবেদনটি দাখিল করেন। যা এম, আর, মামলা। বিবাদীরা হ”েছ কক্সবাজার সদর উপজেলার পশ্চিম পোকখালী মালমুরা পাড়ার আবদুস সালাম এর পুত্র মোহাম্মদ শাহজাহান, তার পিতা আবদুস সালাম এবং তাদের এলাকার মেম্বার লুৎফুর রহমান প্রকাশ লুতু মেম্বার। মোঃ শাহজাহান এর সাথে দরিদ্র পরিবারের এ মহিলার বিয়ে হয়। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন যে, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে বিবাদীরা গৃহবধূর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে তিনি যৌতুক এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা তাকে ঘরের একটি রুমের ভিতর জোরপূরবক আটকে রাখে। গৃহবধূ মোবাইলে এ ঘটনা তার পিতাকে জানালে পিতা ওবায়দুল হক ও তার ছেলে এমদাদুল হক কয়েকজন লোক সহ ঘটনা¯’লে যান। তারা শ্বশুরপক্ষের নিকট তাকে জোরপূরবক আটকে রাখার কারণ জিজ্ঞেস করেন।প্রতিউত্তরে তারা তাদের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি এবং যৌতুক না দিলে ওই গৃহবধূকে হত্যার হুমকি দেয়। তারা গৃহবধূকে পিত্রালয়ে নেয়ার জন্য বললে শ্বশুর পক্ষের লোকজনকে তাদের কাছ থেকে খালি স্টা¤প ও চেক দাবি করে। ভুক্তভোগির জীবন ঝুঁকির কথা চিন্তা করে শশুর পথের দাবী মতে মেয়ের পিতা ও ভাই তাদেরকে ৬০০ টাকা মূল্যমানের ৬ ফদ নন জুডিশিয়াল সট্যা¤প প্রদান করেন। যাতে ওই গৃহবধূর স্বাক্ষর ও নেয়া হয়। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে শশুর পক্ষের লোকজন মেয়ের প্রাণ বাঁচানোর স্বার্থে তাদেরকে ইসলামি ব্যাংক, ঈদগাঁও সরকার বাহক এর নাম ও টাকার অঙ্ক অলিখিত অব¯’ায় একটি চেক প্রদান করেন। পরে থেকে শ্বশুর পক্ষের লোকজন জিম্মিদশা থেকে গৃহবধূকে মুক্তি দিলে তাকে তাদের ঘরে নিয়ে আসেন।
আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয় যে, সংঘটিত ঘটনায় বিবাদীরা ¯’ানীয় সালের বিচার না মানায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিসট্রেট আদালত নং-৪ কক্সবাজারে সি, আর ৭২৩/২০২০ মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে বিবাদীরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা আদায়কৃত স্টা¤প ও চেক ই”েছমতো পূরণ ও ব্যবহার করে স্টা¤প ও চেক প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূরবক জেলে পাঠাবে বলে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছে।
গৃহবধু তার আবেদনে আরো অভিযোগ করেন যে, তার অভিযুক্ত আসামি শাহজাহান ইতোপূরবে দুইটি বিবাহ করে। তাদেরকে তালাক ও দেয়। ভুক্তভোগী যুবতী ভোমরিয়াঘোনা হাজী শফিক ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছিল। মাদ্রাসায় যাবার পথে অভিযুক্ত শাহজাহান তাকে অপহরণ করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। ভুক্তভোগির পিতা-মাতা মান সম্মানের কথা চিন্তা করে ¯’ানীয়ভাবে আপস রফা এ বসেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে ৩/৯/২০১৯ ইংরেজি তারিখে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়, কক্সবাজার এর ১৬১৭ নাম্বার "দা¤পত্য জীবন যাপনের চুক্তিপত্র" মূলে ও ইসলামি বিধানমতে তার সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী যৌতুকের জন্য এ গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। ভবিষ্যৎ সুখের আশায়
গৃহবধূ তাদের নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করছিল।এদিকে পারে প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাহজাহান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ওই মহিলার সাথে তার বিবাহ বি”েছদ হয়ে গেছে। তারা ¯^ে”ছায় সামাজিক বৈঠকের মাধ্যমে সট্যা¤েপ স্বাক্ষর করে এই বি”েছদ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে। তিনি তার শ্বাশুড়ীর নানা অপকর্মের কথা তুলে ধরে বলেন, নানা অজুহাতে তিনি তার কাছ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হাওলাত নিয়ে এ পর্যন্ত পরিশোধ করেননি। সত্রী ও তার অভিভাবকরা না চাইলে আমি একার পক্ষে কিভাবে সংসার টিকিয়ে রাখা সম্ভব। স্টা¤প নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো জোরাজোরির ঘটনা ঘটেনি। এর পরও যেহেতু তারা বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে সেহেতু আমি আদালতের মাধ্যমে চূড়ান্ত নি®পত্তির চেষ্টা করব। তবে তিনি এর পূরবে আরো একবার বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ওই সত্রীর সাথে সামাজিকভাবে বিবাহ বি”েছদ হওয়ার পর তিনি তাকে বিয়ে করেছিলেন।