অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশে এখন পর্যন্ত একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে খেলার অভিজ্ঞতা সাকিব আল হাসানেরই। আগামী আসরেও খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছিল তার। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সাকিবকে দলে ভেড়াতে চাইলেও, নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় তাকে নিতে রাজি হয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এমন তথ্য জানিয়েছে, ডেইলি টেলিগ্রাফ। ভারতীয় জুয়াড়ির প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন রাখায় সাকিব নিষিদ্ধ ছিলেন একবছর। ২৯ অক্টোবর তিনি নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্ত হয়েছেন। তাই বিগ ব্যাশে খেলার জন্য নিজের আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন। সেই আগ্রহের ভিত্তিতে একটি দল তাকে দলে ভেড়াতে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে অনুমতি চাইতে গেলে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ইন্টিগ্রিটি পুলিশ। সাধারণ কোনও খেলোয়াড় অনৈতিক কারণে শাস্তি পেয়ে থাকলে তাদের ভেড়াতে আগ্রহ দেখায় না ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সংশ্লিষ্ট এই বিভাগ। আর সেই কারণেই তারা সাফ জানিয়ে দেন, সাকিবের সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রে কোনও অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। অথচ ২০১৩-১৪ মৌসুমে প্রথমবার বিগ ব্যাশে খেলেছেন সাকিব। সেখানে তার অভিষেক হয় অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সে। পরের মৌসুমে খেলেছেন মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়েও। নতুন করে বিগ ব্যাশে খেলতে না পারায় দ্য টেলিগ্রাফের কাছে এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার, ‘আসলে সবার অনুভূতি জানতে পারা সহজ কাজ নয়। ওরা আমাকে নিয়ে সন্দেহ করতে পারে অথবা অবিশ্বাস করতে পারে। বিষয়টি আমি অস্বীকার করছি না।’ পাকিস্তান সুপার লিগেও মাহমুদউল্লাহর বদলে সাকিবের খেলার কথা ছিল। কারণ মাহমুদউল্লাহ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় খেলার সুযোগ পাননি। তবে ড্রাফটে শুরুর দিকে নাম না থাকায় খেলার অনুমতি পাননি সাকিব।