‘রেশমের হারানো ঐতিহ্য ফেরাতে রাজশাহী রেশম কারখানায় আরও কিছু লুম চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমানে কারখানাটিতে ১৯টি লুম চালু রয়েছে। রেশমের কাপড়ও উৎপাদন করা হচ্ছে। এখন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে আরও বেশি সংখ্যক লুম চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।’ বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে কারখানা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেছেন বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফজলে হোসেন বাদশা। এ সময় তিনি রেশমের কাপড় উৎপাদন দেখে আরও বেশি সংখ্যক লুম চালুর উপযোগী করতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে বাদশা বলেন, লোকসানের অজুহাতে ২০০২ সালে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকার এই রেশম কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন এই কারখানার ঋণের বোঝা ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এরপর বোর্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে বন্ধের ১৬ বছর পর ২০১৮ সালে কারখানাটিতে প্রথম ছয়টি লুম চালুর ব্যবস্থা করি। ধীরে ধীরে মোট ১৯টি লুম চালু করা হয়েছে। এখন আরও বেশি সংখ্যক লুম চালুর ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে কারখানায় যে কাপড় উৎপাদন হচ্ছে তা ছোট একটি শো-রুমে রাখা হচ্ছে। আরও বেশি লুম চালু করে আমরা শো-রুমটিও বড় করতে চাই। এর পাশাপাশি অনলাইনে রেশম পণ্য বিক্রির একটা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে রেশম বোর্ডের আগামী সভায় এসব চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে আশা করছি। এর মাধ্যমে রেশমের হারানো ঐতিহ্য আমরা আবারও ফিরিয়ে আনতে চাই।
পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আবদুল হাকিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় ১৯৬১ সালে সাড়ে ১৫ বিঘা জমির ওপর এই রেশম কারখানা স্থাপিত হয়। কারখানাটি বন্ধ করে দেয়ার সময় মোট ৬৩টি লুম ছিল। এর মধ্যে উৎপাদন চলতো পুরনো ৩৫টি লুমে। নতুন ২৮টি লুম চালুর আগেই কারখানাটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। বন্ধের আগে কারখানাটি বছরে এক লাখ ৬ হাজার মিটার রেশম কাপড় উৎপাদন করতো। কারখানায় ৬৩টি লুম চালু করা গেলে বছরে কাপড় উৎপাদন হবে দুই লাখ ৮৭ হাজার মিটার। বর্তমানে কারখানাটিকে সেই পর্যায়ে নিতে সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।