লালমনিরহাটে এসএ পার্সেল এ- কুরিয়ার সার্ভিস কাউন্টার থেকে ১৯৩ পিচ ভারতীয় শাড়ী উদ্ধার করেছে সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে এনএসআই ও সদর থানা পুলিশ জেলা শহরের মিশনমোড়স্থ এসএ পার্সেল এ- কুরিয়ার সার্ভিসে যৌথ অভিযান চালিয়ে এ শাড়ি গুলো উদ্ধার করে।
লালমনিরহাট সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এনএসআই ও থানা পুলিশের একটি দল দুপুরে এসএ কাউন্টারে অভিযান চালায়। পরে কাউন্টারে নাম ঠিকানা বিহীন বুুুুকিং করা ৪টি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে অনেক দামী ১৯৩ পিস ভারতীয় জামদানী শাড়ি উদ্ধার করা হয়। শাড়ি গুলো জব্দ তালিকায় নেয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাউন্টারের দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
একটি সুত্র জানায়, আজ ভোরে ভারত থেকে বুড়িমারী হয়ে প্রথমে পাটগ্রাম ও পরে আদিতমারীতে নামানে হয় শাড়ীর বস্তাগুলো। পরে আদিতমারী হতে লালমনিরহাট এস এ পরিবহন কুরিয়ার সার্ভিসে নিয়ে আসে এক ভ্যান চালক। সেখানে বুকিং করে চলে যান ওই ভ্যান চালক।
এদিকে গোপন সংবাদের মাধ্যমে পিছু নেয়া সরকারী গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের সদস্যরা এই ভারতীয় শাড়ির কথা লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে এনএসআই ও লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব ভারতীয় জামদানী শাড়ি উদ্ধার করে। অভিযানে ৪টি প্লাস্টিকের বস্তা থেকে মোট ১৯৩ পিচ জামদানী শাড়ী উদ্ধার করা হয়। শাড়ীগুলোর মূল্য দুই লক্ষাধিক টাকা হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছে পুলিশ। এই ভারতীয় শাড়ী গুলো ঢাকা মিরপুর-১০ এর শরীফ নামে এক ব্যক্তি গ্রহন করবেন বলে এনএসআই সূত্র জানায়।
উদ্ধার অভিযান শেষে এসএ পার্সেল এ- কুরিয়ার সার্ভিসের ম্যানেজার তপন চন্দ্র ও বুকিং সহকারী ইমরান হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
লালমনিরহাট সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম জানান, এসএ পার্সেল এ- কুরিয়ার সার্ভিসের কাউন্টার থেকে ১৯৩ পিচ ভারতীয় শাড়ী উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শাড়ি গুলোর মালিক কে এবং কোথা থেকে এসেছে যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে আটক করা হয়েছে।