মুজিববর্ষ উপলক্ষে নীলফামারীতে প্রথম পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পেতে যাচ্ছে ৩শ ১৯জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে জেলার ৪ উপজেলার ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে খাস জমিতে সেমি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে তাদের। এর মধ্যে নীলফামারী সদরে ৭৫টি, জলঢাকা উপজেলায় ১শ ২০টি, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ১শ টি ও সৈয়দপুর উপজেলা ২৪টি।
১৯ নভেম্বর কিশোরীগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের কাছারীপাড়ায় ঘর নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তি স্থাপন করেন জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কিশোরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ আবুল কালাম বারী পাইলট, কিশোরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা বেগম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবুল, শাপলা বেগম, কিশোরীগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আউয়াল, উপজেলা প্রকৌশলী মজিদুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল হাসনাত সরকার প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, এর আগে জেলা সদরের টুপামারী ও লক্ষ্মীচাপে, সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুরে, জলঢাকা উপজেলার খারিজা গোলনায় জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার এ শ্লোগানে মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য নিরাপদ আবাসন নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও প্রত্য তত্বাবধায়নে মুজিববর্ষের মধ্যে সকল গৃহহীনদের জন্য ঘর তৈরি করে দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে নীলফামারী জেলার ৩শ ১৯টি পরিবারের জন্য সেমি পাকা ঘর ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ে ঘরগুলি নির্মাণ করে পরিবারগুলিকে হস্তান্তর করা হবে।
জেলা ত্রান ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা এস এ হায়াত জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের পুর্ণবাসন করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০২০-২১ অর্থ বছরের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে ৩শ ১৯টি পরিবার ঘর পাচ্ছেন। জেলার ৪ উপজেলার ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার টাকা ব্যয়ে খাস জমিতে ৩শ ১৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর নির্মান করে দেয়া হচ্ছে। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে পরিবার প্রতি ঘর তৈরি করে দেয়া হবে।