তানোরে আ.লীগের আন্ধকার সময়ে নেতা-কর্মির হৃদয়ে আলো ছড়িয়েছিলেন প্রদীপ সরকার। ৯০এর দশকের আগে ও পরে তানোরে হাতে গনা কিছু ব্যাক্তি আ.লীগের রাজনীতি করতেন। আ.লীগ রাজনৈতিক পরিবারের জন্ম নেয়া আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার তৎকালীন সময়ে ছিলেন তানোর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি।
আ’লীগের দুর্দীনে কঠোর পরিশ্রম, ন্যায়, নিষ্ঠাসহ উৎসাহ দিয়ে সাধারন মানুষকে দলে টেনে শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করার পাশাপাশি নেতা-কর্মিদের প্রেরনা দিয়েছেন প্রদীপ সরকার। দলকে শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে তার ভৃমিকার কথা এখনো ত্যাগী নেতাদের মনে থাকলেও সুযোগ সুবিধাসহ দেয়া হয়নি যোগ্য সম্মান।
আ’লীগ পরিবার মানেই সবাই এক নামেই তখন সরকার পরিবারকেই জানতেন এবং চিনতেন ও মানতেনও। প্রদীপ সরকারের বাড়ি সদরের বাজারে হওয়ায় নেতা-কর্মিরা আপদে বিপদে প্রদীপ সরকারের কাছেই ছুটে যেতেন চাইতেন সহযোগীতা। ওই সময় আ.লীগ নেতা-কর্মিদের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করার পাশাপাশি সহযোগীতার পাশাপাশি করতেন প্রতিবাদ।
রাজনীতির মারপ্যাচে তাকে দেয়া হয়নি তার যোগ্য সম্মান। উদার ও খোলা মনের মানুষ এই নেতা এখনো রাজনীতির কোন সুবিধা ভোগ করতে পারেননি। দীর্ঘদিন থেকে আ.লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার তানোর পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক করে রাজনৈতিক কর্মকা- হাসিল করা হলেও তাকে সুবিধার সুযোগ-সুবিধা।
তবে, ১৯৯১সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রদীপ সরকারের উপর দফায় দফায় হামলা ও অত্যাচারের স্বীকার হতে হয়েছে। সরকার দলীয় কোন নির্যাতন নিপীড়নই তাকে আ.লীগের আদর্শ থেকে সরাতে পারেনী। তিনি তার নিজ গতিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে সারা জীবন আ.লীগের মুল স্্েরৗতে থেকে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন আ.লীগ নেতা-কর্মিদের সহায়তার জন্য।
আ’লীগ দলীয় নেতা-কর্মিরা বলছেন, তানোরে আ.লীগ মানেই ছিলো প্রদীপ সরকার, বর্তমানে আ.লীগে লোকের অভাব না হলেও ওই সময় তিনিই নেতা-কর্মিদের ঐক্যবন্ধ করে ধরে রেখেছিলেন। আ.লীগে প্রদীপ সরকারের পরিশ্রম ও অবদানের যোগ্য সম্মান তাকে দেয়া হয়নি।
২০০১সালের পরেও আ.লীগের রাজনীতি ছিলো প্রদীপ সরকার ও তার বাড়িকে ঘিরে। বর্তমানে আ.লীগের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা অনেক নেতা ৪দলীয় জোট সরকারের আমলে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিলেও প্রদীপ সরকার আলো জ¦ালিয়ে রেখেছিলেন আ.লীগ নেতা-কর্মির হৃদয়ে। আ.লীগের দুর্দিনে দলকে শক্তিশালী করতে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন উদীমান এই নেতা।
নাম প্রকাশ্যে আ.লীগ ও যুবলীগ ও ছাত্রলীগের একাধিক নেতা কর্মী বলেন, রাজশাহী শহরসহ তানোর প্রোপ্রারের বেড়ে উঠা রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করা উচ্চ শিক্ষিত সৎ যোগ্য বেধাবী ত্যাগী এই নেতাকে বাইরের কিছু সুবিধা ভোগী নেতারা প্রদীপ সরকারকে বিভিন্ন ভাবে লাঞ্চিত ও বঞ্চিত করেছেন। আগামীতে প্রদীপ সরকারকে তার যোগ্য সম্মানে সম্মানিত করার দাবি জানিয়েছেন নেতা-কর্মিরা।
এব্যাপারে তানোর পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার বলেন, চাওয়া পাওয়ার হিসাব করে রাজনীতি করিনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে লালন করার পাশাপাশি পালনের চেষ্টা করেছি, নেতা-কর্মিরাই বলতে পারবেন, আ.লীগের রাজনীতিতে আমার ভুমিকার কথা। তিনি বলেন, আ.লীগের রাজনীতিতে বেইমানদের আর জায়গা হবেনা।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি আগামী ৯ ডিসেম্বর তানোর উপজেলা আ.লীগের সম্মেলনে স্থানীয় নেতা-কর্মিরা যোগ্য ব্যাক্তিকেই সম্মানজনক স্থানে রাখবেন। আ.লীগ দলে আমার কর্মকা- কেমন ছিলো তা স্থানীয় নেতা-কর্মিরাই ভালো জানেন।