কয়েকদফা বন্যা আর ভাড়ি বৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কৃষকদের। এর মাঝে আবারও শুরু হয় দমকা হাওয়া আর ভাড়ি বৃষ্টি। শাক-সবজির বীজ রোপণের পরপরই ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির মুখে পড়ে হতাশ করে তুলেছিলো তাদের। আর তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শাক-সবজি চাষ করে ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তারা। নতুন করে জমি তৈরি করে বেগুন, ঢেঁড়স, মুলা, লাউ, শসা, লাল শাক, নাপা শাক, হাপা শাক, পালং শাকসহ বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির বীজ রোপণ করেছেন এবং ফলনও ভালো পাচ্ছেন। এসব শাক-সবজি উঠানোর পর আলু রোপণ করবেন বলে জানান কৃষকরা। শীতের শুরুতেই শাকসবজির দাম ভালো হওয়ায় এ চাষাবাদে বেশ লাভবান হচ্ছেন তারা। কৃষকরা বলছেন আমন চাষ এবং সবজি চাষে কয়েক বার ক্ষতির মুখে পড়লেও সবজির দাম ভালো পাওয়ায় এখন বেশ খুশি।
তবে শাক-সবজির লক্ষ্যমাত্রা এখনও নির্ধারণ করা হয়েনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের পীর সাহেবটারীর দেলোয়ার হোসেন জানায়, আড়াই বিঘা জমি মৌসুম প্রতি ৬ মণ ধানে লিজ নিয়েছেন তিনি। এবারের বন্যায় দেড় বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে তার। তাই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার আড়াই বিঘা জমিতেই, লাউ, বেগুন, ধনে পাতা, মুলা, লাল শাক, শসা, পটল, বাঁধা কপি লাগিয়েছেন তিনি। এখন লাউ বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিটি লাউ বিক্রি করছেন ৪০ থেকে ৫০টাকা পর্যন্ত। বেশ লাভের মুখ দেখছেন তিনি।
কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, তিনিও এক বিঘা জমি ৬ মণ ধানে লিজ নিয়ে লাউ, লাউশাক, মুলা, ধনেপাতা চাষ করছেন। তবে এর আগে একবার এসব শাক-সবজি বন্যা ও বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়েছে। আবারও চাষাবাদ করছেন তিনি।
অপরদিকে কৃষকদের অভিযোগ, কয়েক বার বন্যা এবং ভাড়ি বৃষ্টিপাতে ফসলের ক্ষতি হলেও কৃষি প্রণোদনা কিংবা কোনা প্রকার সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না তারা। এমনকী বি.এসরাও এসে দেখে যান না ও পরামর্শ দেন না কখনও।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজেন্দ্রনাথ রায় জানান, শাক-সবজির লক্ষ্যমাত্রা এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। কৃষকদের অসহযোগিতা সম্পর্কে বলেন, কৃষকরা আমাদেরকে না বললে কীভাবে সহযোগিতা করব। তারা আমাদের বিএসকে ফোন দিয়ে না পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।