রাজশাহীর তানোর পৌর এলাকার শিতলীপাড়া গ্রামে খানকা পীর ইয়াসিনের বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এনিয়ে তার সাবেক স্ত্রী কুমকুম বেগম বাদী হয়ে গত ৭ নভেম্বর তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ছাড়া শিতলীপাড়া গ্রামের কাওসার আলীসহ শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষরিত পৃথক আরেক অভিযোগ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই একই দপ্তরে দাখিল করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে শিতলীপাড়ায় খানকা পীর ইয়াসিন আলী নারী-পুরুষ নিয়ে উচ্চৈঃস্বরে গভীর রাত পর্যন্ত জিকির, ওরশ ও গানবাজনা করে। এতে গ্রামের লোকজনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন নেশা করে মাতলামি করে। তাকে এসব করতে নিষেধ করলেও পীর ইয়াসিন তা শুনেন না। পক্ষান্তরে গালিগালাজ করে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
এনিয়ে ইয়াসিনের সাবেক স্ত্রী কুমকুম বেগম বলেন, বিভিন্ন মহিলা ও পুরুষ নিয়ে খানকায় আসর বসে মধ্যরাত পর্যন্ত। অনেকের সাথে আমার স্বামীর অবৈধ্য সম্পর্ক রয়েছে। আমি দেখে ফেললে ও প্রতিবাদ করলে আমাকে ও আমার কলেজ পড়-য়া মেয়েকে মারধর করে।
তার এহেন অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমি তাকে ডির্ভোস দিয়েছি। কিন্তু আমার নামে যে বাড়ি আছে তা পীর ইয়াসিন ছেড়ে দিচ্ছে না। আমি বাড়িতে গেলে আমাকে ও আমার মেয়েকে ইয়াসিনসহ তার মহিলা-পুরুষ সাগরেতরা মারধর করে। পরে শিতলীপাড়ার সব লোকজন এগিয়ে এলে ভয়ে ৯৯৯ ইয়াসিন রিং দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
তিনি আরও জানান, ইয়াসিন একটি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারীর অধিকার নিয়ে বে-সরকারি সংস্থা ‘রুলফাও’ এনজিওতে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে। তারপরও আমাকে ও আমার মেয়েকে নির্যাতন করে চলছে!
এব্যাপারে পীর ইয়াসিন এসব অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, আমার সাবেক স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। পাড়ার লোকজনকে উসকে দিচ্ছে। আমার সুনাম নষ্ট করছে। তার নামে বাড়ি নেই। জায়গা আছে। সে বাড়ির ভোগ-দখল করতে চায়। আমি এ নিয়ে আদালতে মামলা করেছি। মামলার মাধ্যমে তাকে সমুচিত জবাব দেয়া হবে বলে জানান পীর ইয়াসিন।