লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার উত্তর সিন্দুর্না গ্রামের পন্ডিতপাড়া এলাকার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী দুই ভাই শাহিন মিয়া ও সাজু মিয়াকে বাড়ি করে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর। এবার কয়েক দফার বন্যায় ও তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে তাদের বসত বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বর্রাতমানে রাস্তার ধারে ছোট ভাই শাহাজাতের বাড়িতে তাদের বসবাস। ৪ মাস আগে তাদের অধিকার ভিক্তিক প্রশিক্ষন দিতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখতে পায় প্রতিবন্ধী গবেষক ও প্রশিক্ষক রুকশাহানারা সুলতানা মুক্তা। পরে প্রতিবন্ধী দুই ভাইকে নিয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফরের কাছে হাজির হন রুকশাহানারা সুলতানা মুক্তা। দুই ভাইয়ের কাছে বিস্তারিত শুনে বসত বাড়ি নিমার্ণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্প্রতি ‘জমি আছে, ঘর নেইথ এ প্রকল্পের মাধ্যমে ওই দুই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভাইকে বসত বাড়ি নিমার্ণ করে দেয়ার উদ্যোগ নেয় হাতীবান্ধা উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (২১ নভেম্বর) ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বসত বাড়ি নিমার্ণের কাজ চলমান। ১০/১৫ দিনের মধ্যে নিমার্ণ কাজ শেষ হবে।
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শাহিন মিয়া ও সাজু মিয়া বলেন, অনেক দিন মেম্বার চেয়ারম্যানদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। কিন্তু কেউ তাদের কথা শোনেনি, কেউ তাদের থাকার জন্য একটি ঘর দেয়নি। পরে মুক্তা আপার মাধ্যমে ডিসি স্যার আমাদের ঘর করে দিবেন বলে আশ্বাস দেয়। ডিসি স্যার কথা রেখেছেন। আমাদের এখন আর বাড়ি নিয়ে চিন্তা নেই। আমরা এক ভাই মুদির দোকানের, এক ভাই গাভী পালনের প্রশিক্ষন নিয়েছি। আমরা ভিক্ষা নয়, ব্যবসা করে বাঁচতে চাই। বসত বাড়ি পেয়ে শাহিন মিয়া ও সাজু মিয়া দুই ভাই বেশ খুশি।
প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষক ও গবেষক রুকশাহানারা সুলতানা মুক্তা বলেন, আমার প্রতিষ্ঠিত সারপুকুর প্রতিবন্ধী উন্নয়ন সংস্থা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সহযোগিতা নিয়ে জেলার প্রতিবদ্ধীদের পুনঃবাসনে কাজ করছি। শাহিন ও সাজু মুদির দোকান ও গাভী পালনে প্রশিক্ষন নিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন সহযোগিতা করলে তাদের পুনঃবাসন করা সম্ভব।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শাহিন ও সাজুকে বসত বাড়ি নিমার্ণ করে দেয়া হয়েছে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়ারও চেষ্টা আমরা করবো।