টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন,ফাতিহা পাঠ ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) সাংবাদিকদের শুক্রবার বলেছেন- “আমরা রিসার্চ করে দেখেছি বেসরকারি এবং সরকারি পাট সেক্টর। বেসরকারি সেক্টর ৯৫ ভাগ এবং সরকারি সেক্টর মাত্র ৫ ভাগ। পরে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করি এ বিষয়ে। সেকারনেই ভেবেছি বছরে হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি না দিয়ে শ্রমিকদের সিষ্টেমের মাধ্যমে, গোল্ডেন হ্যান্ড শেক’র মাধ্যমে বিদায় দিতে পারলে ভালো হয়। পরে মিলগুলি আধুনিকায়ন করে লীজের মাধ্যমে বা পিপিই’র মাধ্যমে যদি ভাড়া দিতে পারি তবে এই সেক্টর জেগে উঠবে। প্রধানমন্ত্রী কথা রেখেছেন। তিনি যে কথা দিয়েছিলেন নভেম্বর মাসের মধ্যে সমুদয় টাকা পরিশোধ করে দেবেন পাটকল শ্রমিকদের ,তা তিনি রেখেছেন। এখন নভেম্বর মাস রানিং আছে। ইতিমধ্যেই সব টাকা দিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেকে মনে করেছিলেন এতোগুলি মিল বন্ধ হয়ে গেলে দেশের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। কিন্তু হয়েছে উল্টা। গত বছর পাটের মন ছিল ২ হাজার টাকা। এবছর মন হয়েছে সাড়ে তিন হাজার টাকা। ফরিদপুর অঞ্চলে পাট বেশী হয়। এই করোনার মধ্যেও আমরা শতকরা ৪০ ভাগ রপ্তানী গ্রো করেছি”। তিনি সকাল এগারোটার দিকে জেলার টুঙ্গিপাড়ায় চির নিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে প্রথমে পুষ্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে ফাতিহা পাঠ ও দোয়া করেন বঙ্গবন্ধু ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ হওয়া তাঁর পরিবারের সকল সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: সাইদুর রহমান খান,অতি: জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী শহিদুল ইসলাম,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান,টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ^াস,টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম,টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ফোরকান বিশ^াস প্রমুখ। এরপর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
এসব কর্মসূচি সেরে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরায় নির্মানাধীন শেখ রেহানা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পরিদর্শন করেন। এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।