সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পৌরসভায় আগাম নির্বাচনী হাওয়া বইছে। মেয়র পদে দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারনের মন আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের ব্যানার-ফেষ্ঠুনে ছেয়ে গেছে নগর, মহল্লা। কেউ কেউ আবার অতিত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্মকা- তুলে ধরে ভোটারদের নজর কাটতে লিপলেট বিতরণ শুরু করেছে। বিএনপি, জামায়তের প্রচার-প্রচারনা চোখে পড়ার মত না হলেও ঘরে বসে নেই তারাও। বাড়ী বাড়ী ওঠান বৈঠকের মাধ্যমে তাদের প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানাযায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশিত প্রার্থীরা হলেন এম.এম হাসানুজজামান সুলতান, মোঃ জুয়েল মাহমুদ আকন্দ, বর্তমান মেয়র আবদুল আল-পাঠান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আখছারুল আলম খোকন ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ বাবুল আক্তার। ৯০ দশকের নির্যাতিত ত্যাগি ছাত্রনেতা কারাবরণকারী যার মুক্তির দাবিতে উত্তরাঞ্চল মহাসড়ক ৮ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের পর ধানগড়া বসতবাড়ীতে চলে বিএনপি, জামায়ত জোটের ভাংচুর ও তান্ডব লিলা। সেই বর্ষিয়ান নেতা তার ভাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাঃ আক্তারুজ্জামান সোহেল ও দলীয়কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার-প্রচারনায় নেমেছেন যা চোখে পড়ার মতন। সাবেক পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ আকন্দ তার আন্দলন সংগ্রাম ও পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দানকারী নেতা হিসাবে মাঠে রয়েছেন সুনামের সহিত। সেই নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় ওয়ার্ড সভা করে দলীয় নেতাকর্মীদের আকৃষ্ট করছে। বর্তমান মেয়র আবদুল আল-পাঠান বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ বিভিন্ন দারিদ্র বিমোচনে সরকারি সহায়তা মূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন সুনামের সহিত। কিন্তু পৌরসভার টেনন্ডারে কাজ ভাগ বাটোয়ারা ৮-১০টি লাইসেন্সর কাজ তার ভাইদের নামে করে নেওয়ায় সে সুনামে ভাঁটা পড়েছে। ফলে দল থেকে বিচ্ছিন্ন এ নেতা প্রচা-প্রচারনায় ব্যান-ফেস্টুনে দলীয় নৌকা প্রতিক না থাকায় জনগণের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সে কি বিদ্রহী প্রার্থী হতে যাচ্ছে। এ ছাড়া পৌর আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সাবেক সম্পাদক আখছারুল আলম খোকন ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ বাবুল আক্তার দলীয় নেতাকর্মীদের মনজয় করতে মাঠে রয়েছেন। এ ছাড়া বিএনপি’র সাবেক রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাবেক মেয়র জামায়ত নেতা মোশারফ হোসেন আকন্দ উঠান-বৈঠকের মাধ্যমে তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচার-প্রচারোনা চালিয়ে যাচ্ছেন, জাতীয় পাটির মোঃ সওয়ারদি ও জাসদের রায়গঞ্জ উপজেলার শাখার সভাপতি মোঃ মাজদার হোসেন। জানাযায় এই পৌরসভায় মোট ৫ জন প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় মনোয়ন প্রত্যাশায় কাজ করছেন। অপর দিকে জামায়ত, বিএনপি, জাতীয় পাটি ও জাসদের একজন করে প্রার্থী রয়েছে। বিএনপি’র একাধিক প্রার্থী হতে পাড়ে বলেও দলীয় সুত্রে জানাগেছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপি’র সাবেক প্রয়াত সভাপতি নূর সাঈদ সরকারের পুত্রের নাম শোনা যাচ্ছে।