ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্টের কারণে সদর উপজেলার গোপীনাথপুর,চন্দ্রদিঘলিয়া এবং হরিদাসপুরে কোন অবস্থাতেই গভীর নলকূপ স্থাপন করা যাবে না। ওই তিনটি ইউনিয়নে বিকল্প হিসাবে রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং ইউনিট স্থাপন করা যাবে। সেখান থেকে পানি ধরে রেখে চাহিদা মেটাতে হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। উপজেলায় মোট ১০৫৭ টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য। এর মধ্যে পানি সরবরাহে আর্সেনিক ঝুকি নিরসন প্রকল্পে ৪৩৩ টি এবং সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ৬২৪ টি গভীর নলকূপ বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতিটি হস্তচালিত গভীর নলকূপের জন্য ৭০০০ টাকা জমা দিতে হবে। হরিদাসপুর,গোপীনাথপুর ও চন্দ্রদিঘলিয়ায় রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ইউনিটের জন্য জমা দিতে হবে ১৫০০ টাকা। ওই তিন ইউনিয়নের প্রতিটিতে ৫২ টি করে রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং ইউনিট স্থাপন করা হবে। পানির চাহিদা মেটানোর জন্য এ ধরনের কর্মসূচি চালানোর সাথে সাথে প্রতিটি ইউনিয়নে নলকূপগুলি কত মিটার গভীরে স্থাপন করতে হবে সে বিষয়েও দিক নির্দেশনা দিয়েছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। উল্লেখ্য পানির চাহিদা মেটাতে ইতঃপূর্বে হরিদাসপুর ও চন্দ্রদিঘলিয়াতে প্রকল্পের আওতায় পানি বিশুদ্ধকরন কল্পে দুটি হেভি ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করার পর সেসব নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলেও সংস্কার বা অপসারন কোনটিই করছে না গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।