কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিজিরপুর ইউনিয়নের গোথালিয়া গ্রামের মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী শিশু পাঠশালা ও পুর্নবাসন কেন্দ্রে ১৫২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুলটি গড়ে উঠে। এই প্রতিবন্ধী স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন মোঃ মাহবুবুর রহমান। অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে তিনি স্কুলের শিক্ষকদের খুব কষ্টে চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০১৯ সালে অক্টোবরে এই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সহ জেলার আটটি বিদ্যালয় অনুমোদন প্রাপ্ত চূড়ান্ত উপায়ে যায়। ২০১৭ সাল থেকে অদ্যাবধি স্বীকৃতি প্রদান বন্ধ করা হলেও ২০২০ সালে ঐসব বিদ্যালয় গুলো এমপিও ভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। এই পর্যায়ে ৬ মাস গত হয়ে গেল, প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষক কর্মচারীদের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের কোনো কার্যক্রম উদ্যোগ দেখছে না। বিগত বছরগুলোতে সারা দেশে স্বীকৃতি প্রাপ্ত ৬২টি স্কুল এবং সরকারী স্বীকৃতির অপেক্ষায় ১২০০শত বিষেসাহিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কর্মরত প্রায় ২৮৫৫০ জন শিক্ষক কর্মচারী সরকারী কোনো ধরনের বেতন ও ভাতা বা থোক বরাদ্দ এমনকি সম্মানি পর্যন্ত পাননি। এসব বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান গুলোকে সরকারী সুযোগ সুবিধা দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। উল্লেখ্য, এই জেলার বাজিতপুর, গোথালিয়া মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী শিশু পাঠশারা ও পুর্নবাসন, সুইড বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, কল্যাণী ইনক্লোসিভ মাইরা, কিশোরগঞ্জ জাহানারা হাসান প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পাকুন্দিয়া সদর, গাঙচিল প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পাকুন্দিয়া উপজেলা, নিকলী বুদ্দি ও অটিস্টিক বিদ্যালয় মোহরকান্দা, নিকলী ও আলোর দিশারী বুদ্ধি ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ে এই জেলায় ১ হাজার ৪৪ জন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা কোনো রকম ভাবে শিক্ষা নিচ্ছেন। এ ছাড়া এ জেলায় প্রতিবন্ধী শিশু ২০ শতাংশ ও বাজিতপুর উপজেলায় ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানা গেছে।