করোনা ভাইরাসের কারণে এ বছর বিজয় দিবসের কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত পরিসরে করবে নীলফামারী জেলা প্রশাসন। গত বছরের মতো কুচকাওয়াজ ও সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়ার আয়োজনও করা হবে না।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উদযাপন পালনের কর্মসূচি গ্রহনের প্রস্ততি সভায় ২ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কালেক্টরেট সভা কক্ষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী।
জলা প্রশাসক বলেন, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তোপধ্বনি, পুষ্পমাল্য অর্পণ, পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান শুরু করা হবে। এরপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চৌরঙ্গী মোড়ে স্বাধীনতার অ¤œান স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো, কালেক্টরেট সভাকে জুমে আলোচনা, বাদ জোহর সকল মসজিদে দোয়া, বিভিন্ন উপাসনালয়ে প্রার্থনা, জেলখানা, হাসপাতাল ও এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।
এছাড়া নীলফামারীতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি আগামী ১৩ ডিসেম্বর নীলফামারী হানাদার মুক্ত দিবসটি সামাজিক নিরাপত্তা মেনে পালন করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ নীলফামারীর উপ-পরিচালক আবদুর মোতালেব সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জোনাব আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সহ জেলা বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তারা ও সাংবাদিকবৃন্দ।