ঐতিহ্যবাহী শেরপুর পৌরসভার মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) শহরের জিকে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃণমুলের নেতাদের ভোটে এ প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে তৃণমুলের এই ভোটের আয়োজন করার অভিযোগ এনে সকালেই সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বজর্নের সিদ্ধান্ত নেন আওয়ামী লীগের আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় দলীয় ৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীকে সমঝোতায় আনার জন্য ১২ সদস্যের একটি কমিটি করে দেয়া হয়। এতে তারা সমঝোতায় পৌছতে ব্যর্থ হন। পরে তৃণমুলের নেতাদের ভোট গ্রহনের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলের ভিত্তিতে ক্রমানুসারে ৫ জনের নামই কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ করা হয়।
জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক এমপি সার্বক্ষনিক এই নির্বাচন পর্যবেক্ষন করেন। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল।
বিকেলে হুইপ আতিকের উপস্থিতিতে ফলাফল ঘোষণা করেন অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল। এই নির্বাচনে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও শহর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ১০৯ জন ভোটারের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ১০৩ জন ভোটার। এরমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান পেয়েছেন ৪৮ ভোট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনেয়ারুল হাসান উৎপল পেয়েছেন ৩৩ ভোট এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন পেয়েছেন ২১ ভোট। অপর দুই মেয়র প্রার্থী তৃণমূল ভোট বর্জনকারী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আঁধার পেয়েছেন শূন্য ভোট ও জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আরিফ রেজা পেয়েছেন শূন্য ভোট এবং ১টি ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়।
দলীয় সুত্র জানায় প্যানেল করে এই নামগুলো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে।