পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রায়গঞ্জ পৌরসভা এলাকায় শুরু হয়েছে আগাম গণসংযোগ ও নির্বাচনী নানা প্রস্তুতি। পাশাপাশি দলীয় মনোনয়ন পেতে চলছে রীতিমত দৌড়ঝাঁপ। ৯ জন মেয়র প্রার্থী ও প্রায় দেড়ডজন কাউন্সিলর প্রার্থী আগে ভাগেই মাঠে নেমে পড়েছেন। চলছে দিনরাত ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে লিফলেট বিলি, চায়ের স্টল, হোটেল রেস্তোরাঁয় আড্ডা, ঘরোয়া বৈঠক ও পরামর্শ সভা। নেতাকর্মীদের কাছে ধর্ণাও দিচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। জানাগেছে, রায়গঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেতে ইতোমধ্যেই লবিং করছেন বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল পাঠান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আখছারুল আলম খোকন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আক্তার, পৌর আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক এম এম হাসানুজ্জামান সুলতান ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মাহমুদ আকন্দ। বসে নেই বিএনপি প্রার্থীরাও। প্রার্থী হতে ইচ্ছুক সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রয়াত নুর সাঈদ সরকারের ছেলে সাইফুল্লাহ ইবনে সজল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তৎপরতা চালাচ্ছেন জামায়াত সমর্থিত সাবেক মেয়র মোশাররফ হোসেন আকন্দ ও উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহরাওয়াদী। পৌরবাসী ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান-বর্তমান মেয়র পৌর এলাকায় সাধ্যমত উন্নয়ন কাজ করলেও তৃণমূল পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য জন সমর্থন দেখা যাচ্ছে না। বীর মুক্তিযোদ্ধা আকছারুল আলম খোকনের অবস্থান অপেক্ষাকৃত ভালো। বাবুল আক্তার, জুয়েল মাহমুদ আকন্দ, জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সাইফুল্লাহ ইবনে সজল, মোশাররফ হোসেন আকন্দ ও মোঃ সোহরাওয়াদী যথাসাধ্য গণসংযোগ করছেন। তবে আওয়ামী রাজনীতির একজন পরীক্ষিত সৈনিক এম এম হাসানুজ্জামান সুলতান তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপকহারে গণ সংযোগ করছেন এবং তাকে নিয়ে পৌরবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা আশাবাদী বলে এলাকাবাসী জানান। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলে নেতাকর্মিদের সুখে -দুঃখে পাশে থাকা এবং একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক হিসাবে এম এম হাসানুজ্জামান সুলতানের আলাদা পরিচিতি আছে। এ ছাড়া অত্যন্ত যশস্বী ও সমাজহিতৈষী একজন শিক্ষক হিসাবে তার প্রয়াত পিতা শামসুল হক ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় সুদুর অতীত থেকে কাজ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলা-মামলায় তিনি সপরিবারে একাধিকবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সেই পারিবারিক ঐতিহ্য ও তাঁর বড় ছেলে হিসাবে বাড়তি সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন এম এম হাসানুজ্জামান সুলতান। তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে বিজয় অনেকটা সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকার সাধারণ মানুষ। অপরদিকে বিএনপি’র পক্ষ থেকে আগে ভাগেই একক প্রার্থী বাছাইয়ের জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে।