পাবনার সুজানগরে পেঁপে চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন আদর্শ কৃষক আবদুল মালেক। সে উপজেলার চরভবানীপুর গ্রামের মৃত-জহির উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। প্রথম জীবনে ওই মালেক মনেপ্রাণে ছিলেন একজন সবজি ব্যবসায়ী। তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজি কিনে সুজানগর পৌর বাজারে বিক্রি করতেন। তবে তিনি মনেপ্রাণে সবজি ব্যবসায়ী হলেও ছোট সময় থেকেই স্বপ্ন ছিল পেঁপে বাগান করার। আর এরই লক্ষে গত ৫বছর আগে তিনি প্রতিবেশিদের কাছ থেকে ৫বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেঁপে আবাদ শুরু করেন। প্রথম বছরেই পেঁপে চাষ করে খরচ বাদে তিনি লক্ষাধিক টাকা লাভ করেন। এরপর তিনি মনেপ্রাণে ঝুঁকে পড়েন পেঁপে চাষে। বর্তমানে তিনি ব্যক্তি মালিকানা জমির পাশাপাশি অন্যের জমি লিজ নিয়ে নিজ বাড়ির অদূরে গড়ে তুলেছেন বিশাল পেঁপে বাগান। পেঁপে চাষী আবদুল মালেক বলেন মাত্র ৫বিঘা জমি লিজ নিয়ে শুরু করা ওই পেঁপে বাগান আস্তে আস্তে উপজেলার মধ্যে সব চেয়ে বড় পেঁপে বাগানে পরিণত হয়েছে। শুধুু তাইনা তার বাগানের পেঁপে অত্যান্ত সুস্বাদু এবং বড় বড় আকৃতির হওয়ায় বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। সুজানগর পৌর বাজার ছাড়াও তার বাগানের পেঁপে জেলার অধিকাংশ হাট-বাজারে পাইকারি বিক্রি করা হয়। আর ওই পেঁপে বিক্রি করে প্রতি বছর শ্রমিক ও অন্যান্য খরচ বাদে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা আয় হয় বলে পেঁপে চাষী আবদুল মালেক জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ময়নুল হক সরকার বলেন পেঁপে চাষে মালেকের সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক পেঁপে চাষে ঝুঁকছেন। আশা করছি আগামী ২/৪বছরের মধ্যে উপজেলায় ব্যাপকভাবে পেঁপে চাষ হবে।