লালমনিরহাটের বুড়িমারীতে শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যা মামলার ঘটনায় আরও ৪জনের প্রত্যেককে দুইদিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল (আমলি আদালত-৩) এর ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌসি বেগম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে ৪ জনেরই ৩ দিনের করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। এতে আদালত তাদের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন (১) মোঃ মোতাহার হোসেন (২১), (২) মোঃ আমির হোসেন (৩০), (৩) মোঃ বিপ্লব হোসেন ওরফে লিমন (১৯) ও (৪) মোঃ আতিয়ার রহমান ওরফে পাইয়া।
শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে-পুড়িয়ে হত্যা মামলার ঘটনায় এ নিয়ে ৩ মামলায় ১১৪ জন নামীয় ও অজ্ঞাত শত শত আসামীর মধ্যে মোট ৪৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করে লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ১৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয় লালমনিরহাট ডিবি পুলিশ।
গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার একটি মামলা করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে মোট ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয় এবং ১৫ জনকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আর রোববার গ্রেফতারকৃত আরও ৪ আসামির বিরুদ্ধে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। গ্রেফতার আসামিরা সবাই বুড়িমারী এলাকার বাসিন্দা।
নিহত যুবক শহিদুন্নবী জুয়েল রংপুর শহরের শালবন মিস্ত্রীপাড়া এলাকার আবদুল ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে। গত ২৯ অক্টোবর বিকেলে সুলতান রুবায়াত সুমন নামে এক সঙ্গীসহ বুড়িমারী বেড়াতে আসেন তিনি। ওই দিন বুড়িমারী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআন অবমাননার গুজব ছড়িয়ে শহিদুন্নবী জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যার পর তার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা হয়।