রাজশাহী পুঠিয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে ৩২ জন মাতৃত্বকালীন ভাতা হতে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে ধরনা দিয়ে কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। একাধিক ভাতা বঞ্চিত মায়েদের অভিযোগ, সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি অনুযায়ী সরকারি কোষাগারে মাতৃত্বকালীন সময়ে সরাসরি ভাতাভোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে“গভর্নমেন্ট টু পারসন” বা জিটুপি পেমেন্ট পদ্ধতিতে উদ্বোধন করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। এর ধারাবাহিকতায় পর্যায়েক্রমে দেশের সকল উপজেলায় ভাতা প্রদান চালু করা রয়েছে। এই পদ্ধতিতে মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীদের মাসিক ৮০০ টাকা করে ভাতা দিচ্ছেন সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে। জিটুপি পদ্ধতিতে সরকারি কোষাগার হতে সুবিধাভোগীদের ভাতা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অথবা মোবাইল বা পোস্টাল অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হয়ে থাকে। এতে নিজের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে অর্থ জমার বিষয়টি জানবেন ভাতাভোগীরা। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির অংশ হিসেবে পুঠিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় হতে ৩২ জনের মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের ৬ জন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের ২৬ জন গর্ভকালীন সময়ের মাসে ৮’শ টাকা করে বছরে মোট ৯ হাজার ৬’শ টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভাতাভোগীদের টাকা পুঠিয়া সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা না হওয়ায় তাদের ভাতা পাওনা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মায়েদের অভিযোগ, মাতৃত্বকালীন ভাতা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যদের অতিগোপনে কিছু টাকা করে দিতে হয়েছে। কেউ কেউ আবার স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের টাকা দিয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতার তালিকায় নাম উঠায়েছেন। তারপর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভাতার জন্য টাকা দিতে হয়। মায়েদের ধারণা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার রাজনৈতিক চাপের কারণে, টাকা হয়তো কম পেয়েছেন। তাই অবহেলা করে আমাদের ঝামেলা সৃষ্টি করে রেখেছেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না।
এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ ডালিয়া পারভীন বলেন, আমি ২০১৮ সালে এখানে যোগদান করেছি। ভাতা না পাওয়ার বিষয়টি আমার আগের কর্মকর্তার সময়ের ঘটনা। ভাতা না পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, তিনি নিশ্চিত করে কিছুই জানাতে পারেননি।