লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের মহিষতলি এলাকায় সম্পত্তির ভাগ চাইতে গিয়ে ভাইয়ের হাতে ভাই এবং মা মার খেয়ে গুরুতর আহত হয়েছে। এ বিষয়ে আহত ভাই ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইয়াকুব আলীর পিতা হাসমত আলী তিন মাস পূর্বে মারা যায়, ইয়াকুবের বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে রেখে যাওয়া সম্পত্তি হতে বঞ্চিত করার জন্য মৃত হাসমত আলীর প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুত্র একক ভাবে ভোগ করে আসছে। ইয়াকুব ওই জমির ভাগ চাইতে গেলে বাঁধে ঝামেলা। আর এই বিরোধের জের ধরেই ৮ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) ইয়াকুবের ভাই আব্দুল্লাহ, আজমত আলী, মোত্তালেব এবং চাচাত ভাই জালাল উদ্দিন হঠাৎ আক্রমণ করে।
এজাহারে আরো জানা যায়, মঙ্গলবার হঠাৎ আমার ভাইয়েরা আমার উপর আক্রমণ করলে আমি প্রাণ ভয়ে নিজ ঘরে আশ্রয় নেই, চাচাত ভাই জালালের হুকুমে আমার ভাইয়েরা টিনের বেড়া, দরজা ভেঙ্গে আমাকে বাহিরে বের করে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় আমার স্ত্রী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তারা তাকেও মারতে যায় এতে সে প্রাণ ভয়ে দৌড়ে প্রতিবেশি কালাম মাস্টারের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে আমার মা রাবেয়া বেওয়া আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে বড়ভাই আব্দুল্লাহ মাকেও চুলের মুঠি ধরে মারপিট করে এতে আমার মা গুরুতর আহত হয়।
এক সময় হামলাকারীরা আমার ঘরে থাকা স্বর্ণালংকারসহ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে নেয়। ওই ঘটনার বিষয়ে আমার স্ত্রী ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আমাদের উদ্ধার করে। পরে অপরিচিত একটি অটোযোগে আমরা সবাই চিকিৎসার জন্য আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ আসি। বর্তমানে আমি এবং আমার মা সেখানেই চিকিৎসাধীন আছি।
তিনি আরও বলেন আমি এঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সুবিচার চাই। আমি আমার ন্যায্য অদিকার এবং আমার মায়ের গায়ে হাত তোলার বিচার চাই।
এবিষয়ে মা রাবেয়া বেওয়া বলেন, আমার ছেলে ইয়াকুব কে অন্য ছেলেরা মারপিট করার সময় বাধা দিলে আমার দ্বিতীয় পুত্র আব্দুল্লাহ আমাকে মারধর করে, তিনি বলেন, আমি বৃদ্ধ মানুষ মরে গেলে যাবো তবুও ছেলেকে মরতে দেবো না। তিনি বলেন আমার স্বামি মৃত্যুর আগে বলে গেছে তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি আমিসহ আমার সকল ছেলে ও মেয়েরা পাবে। আমি এ সমস্যার সমাধান চাই, সকলে মিলেমিশে শান্তিতে থাকতে চাই।
এ বিষয়ে আদিতমারী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।