কৃষি ও ফসলি জমিতে অবৈধভাবে ইট ভাঁটা র্নিমানের কারণে কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার ৫ টি ইট ভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সাড়ে ষোল লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ঘোষনা করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ইট ভাঁটা গুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ,ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ইং অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। ইট ভাঁটা গুলোতে অনুমতি ও লাইসেন্স না থাকায় এবং বিল,ডোবা ও কৃষি জমিতে অনুমোদন ব্যতিত মাটি এনে ইট প্রস্তুত করা এবং কৃষি জমিতে ইট ভাঁটা স্থাপন করার কারণে এমএবি ব্রীক মালিক প্রভাষক হাবিবুর রহমানকে ৫ লক্ষ টাকা,এবিডি ব্রীক মালিক আবদুল হাই সরকার গং কে ৪ লক্ষ টাকা, নাম্বার ওয়ান ব্রীক মালিক প্রভাষক রফিকুল ইসলাম মুকুল কে ৪ লক্ষ টাকা,এএইচবি ব্রীক মালিক গোলাম কিবরিয়াকে ৩ লক্ষ টাকা এবং সেভেন সেভেন ব্রীক মালিক আবুল কালাম আজাদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ঘোষনা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ ব্যাপাওে এএমবি ব্রীক মালিক প্রভাষক হাবিবুর রহমান জানান,আমি আয়কর ভ্যাট দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুরে লাইসেন্স চাহিয়া আবেদন করেছি। কিন্তু ু পরিবেশ অধিদপ্তর ইট ভাটার জন্য লাইসেন্স দিচ্ছে না। আমি বৈধ ভাবে ব্যবসা ও লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ওই অধিদপ্তরের নিকট জোড় আবেদন জানাচ্ছি।এবিডি ব্রীক মালিক ও আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই সরকার জানান,এলাকা উন্নয়নের জন্য ইটভাটার প্রয়োজন আছে। আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরের নিকট আবেদন জানাই আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা রেখে আমরা লাইসেন্স চাই। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ বেঙের ছাতার মত ইট ভাঁটা নির্মাণ করে ধুলাউড়ি,ধুবালিয়া পাড়া,গড়াইমারী,মিয়াপাড়া ও লম্বাপাড়া এলাকার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন কাজী সাইফুদ্দিন পরিদর্শক, পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর এবং মাহমুদুল হাসান সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কুড়িগ্রাম।