কুড়িগ্রাম অঞ্চলে উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় জনদুর্ভোগ বাড়তে শুরু করেছে। সূর্যের দেখা মিললেও ১২ডিসেম্বর শনিবার জেলায় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ অবস্থায় অসংখ্য নি¤œআয়ের ছিন্নমূল মানুষ শীত বস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। কনকনে ঠান্ডার দাপটে অনেক শ্রমজীবী মানুষ কাজে যোগ দিতে পারছে না। সবচেয়ে কষ্টে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ধরলা অববাহিকার শতাধিক চরাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ। এসব পরিবারে তীব্র শীত কষ্টে ভুগছে বৃদ্ধা ও শিশুরা। জেলায় দ্রুত তাপমাত্রা নি¤œগামী হওয়ায় কনকনে ঠান্ডার প্রভাব আরো বাড়ছে। হাসপাতালগুলোতে শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই ঘন কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে যাচ্ছে প্রকৃতি। এ অবস্থা চলছে পরের দিন ৯/১০ পর্যন্ত। হতদরিদ্র মানুষজন তীব্র শীত কষ্টে ভুগলেও সরকারী ও বেসরকারীভাবে শীত বস্ত্র বিতরণের তেমন কোন তৎপরতা চোখে পড়ছে না।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের বলদীপাড়া গ্রামের ছলিমা বেগম জানান, খুবই ঠান্ডা পড়েছে, আমরা দিনমজুর মানুষ, প্রতিদিন কাজ চলে না। টাকা পয়সাও নাই গরম কাপড় কিনতে পারছি না। ৪ টা বাচ্চা নিয়ে শীতের মধ্যে খুব কষ্টে আছি। কেউ কোন কম্বল দেয় নাই।
একই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ভোলা মিয়া জানান, আমার ওয়ার্ডে প্রায় ১৮শ মানুষ। আমি সরকারী কম্বল পেয়েছি মাত্র ২৭ টি। যা মাত্র ২৭ জনকে দেয়া সম্ভব হয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আইয়ুব আলী সরকার জানান, শীতের শুরুতে সরকারী ৬শ ৪০ টি কম্বল পেয়েছি যা ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। আমার ইউনিয়নের প্রায় পুরোটাই চরাঞ্চল এবং প্রায় সব মানুষই হতদরিদ্র।
১২ডিসেম্বর শনিবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, শীতের শুরুতেই ৩৫ হাজার কম্বল জেলার ৭২টি ইউনিয়নসহ পৌরসভা গুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে ৯ উপজেলার প্রত্যেক উপজেলার জন্য শীত বস্ত্র কেনার জন্য ৬ লাখ করে টাকা ও ১ হাজার করে শুকনো খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা দু'একদিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।