কচুরিপানার কারণে পাবনার সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলে এ বছর মৌসুমী পেঁয়াজ আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে পেঁয়াজ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আর ১০/১৫দিনের মধ্যে উপজেলায় মৌসুমী পেঁয়াজ আবাদ শুরু হবে। সমভূমির পাশাপাশি চলতি ডিসেম্বর মাসে গাজনার বিল শুকিয়ে যাওয়ায় সেখানেও ব্যাপকভাবে পেঁয়াজ আবাদ করা হয়। এ বছর বিলের উঁচু অংশের প্রায় ৬হাজার হেক্টর জমিতে মৌসুমী পেঁয়াজ আবাদ করা হবে। বিলপাড়ের উলাট গ্রামের পেঁয়াজ চাষী নুরুল ইসলাম শেখ বলেন বিলের পানি শুকিয়ে গেলেও কচুরিপানায় ঢাকা পড়ে আছে বিলের পেঁয়াজ আবাদী ঐ জমি। এতে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ায় সঠিক সময়ে বিলের ঐ জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করা যাবে কিনা এ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিলপাড়ের বামুন্দি গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন বিলের অধিকাংশ পেঁয়াজের জমিতে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা জন্ম নিয়েছে। প্রয়োজনের চেয়ে দিগুণ শ্রমিক নিয়েও জমি থেকে কচুরিপানা পষ্কিার করা যাচ্ছেনা। এদের মধ্যে অনেক কৃষক আবার পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করে কচুরিপানা পরিষ্কার করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাতেও কচুরিপানা শতভাগ পরিষ্কার করা যাচ্ছেনা। ফলে বিলের ঐ জমিতে সুষ্ঠুভাবে পেঁয়াজ আবাদ করা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন স্থানীয় পেঁয়াজ চাষীরা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ময়নুল হক সরকার বলেন কচুরিপানার কারণে বিলের জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করতে শ্রমিক বেশি লাগবে। একই কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আবাদও কিছুটা কম হতে পারে বলে তিনি জানান।