বন্যহাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সরকার ক্ষতিপুরণ দিবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি। আবাসস্থল সংকুচিত হওয়ায় বন্যহাতি লোকালয়ে হামলা চালিয়ে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করছে এরজন্য আমরাই দায়ী। তাই জীববৈচিত্র রক্ষায় বন্যহাতি মারা বা তাদেরকে উত্ত্যক্ত করা যাবে না। তাদের সাথে সহাবস্থানের পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে জানান তিনি।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের মহুয়া রেষ্টহাউজ চত্বরে ময়মনসিংহ বন বিভাগের আয়োজনে মানুষ হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে ইলিফেন্ট রেসপঞ্জ টিম (ইআরটি) সদস্যদের সাথে মতবিনিময় ও সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে অনলাইনে লভ্যাংশের চেক বিতরনকালে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি আরো জানান, আগে বন্যহাতির আক্রমনে কেউ নিহত হলে ওই পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেয়া হতো। বর্তমানে আন্তঃমন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই নিহত পরিবারকে ৩ লাখ টাকা করে দেয়া দেয়া হবে। সেইসাথে গুরুতর আহত ব্যক্তিকে ২ লাখ টাকা এবং ফসলের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে সরকার ৫০ হাজার করে টাকা ক্ষতিপুরন হিসেবে দিবে। এরজন্য তিনি স্থানীয় বন বিভাগ ও প্রশাসনকে সঠিক তালিকা প্রণয়ন করার নির্দেশ দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বন সংরক্ষক (ঢাকা) আরএসএম মনিরুল ইসলাম, ময়মনসিংহ বিভাগীয় বনকর্মকর্তা একেএম রুহুল আমীন, নালিতাবাড়ীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম মাসুম, মধুটিলা রেঞ্জকর্মকর্তা আবদুল করিম ও রাংটিয়া রেঞ্জকর্মকর্তা ইলিছুর রহমান, ইআরটি’র সদস্য ও উপকারভোগীরা।
পরে সামাজিক বনায়নের ৭৪ জন উপকারভোগীদের মাঝে অনলাইনে ১ কোটি ৩৭ লাখ ৯১ হাজার ১২৮ টাকার চেক ও ইলিফেন্ট রেসপঞ্জ টিমের মাঝে উপকরন বিতরন করেন।