বগুড়ার শেরপুরে স্বামীর পরকিয়ায় বাধা দেয়ায় স্ত্রী তাসলিমা খাতুন(২৬) হত্যার ঘটনা বৈঠকে বসে মিমাংশা করল খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু। ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে বড়ইতলী গ্রামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায়, ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি ইউনিয়নের মরিচতলা গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে লিখনের সাথে শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের তছির উদ্দিনের মেয়ের গত ৪ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি সন্তানো জন্ম নেয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে লিখন নিজের স্ত্রীকে রেখে অন্য মেয়ের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এ নিয়ে তাদের ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এরই একপর্যায়ে গত ২৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাসলিমা তার স্বামীর পরকিয়ায় বাধা দিলে তাকে বেধরক মারপিট করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। বগুড়া নিয়ে যাওয়ার পথেই তাসলিমা মৃত্যু বরণ করে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে খানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জু ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার বড়ইতলি গ্রামে বৈঠক বসে বিষয় মিমাংশা করেন। বৈঠকে তাসলিমার বাবাকে ৫ লাখ টাকা ও তার ছেলে সন্তানের নামে ৪ বিঘা জমি লিখে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার অনেকেই।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাসলিমার ছেলের নামে জমি লিখে দেয়া হয়েছে। লাশও পোষ্ট মর্টেম করা হয়েছে। তাছাড়া এটাতো পুরাতন খবর। এ ব্যাপারে আর কিছু বলার নেই।
এ বিষয়ে ধুনট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ সিন্ধুবালা বলেন, আমার থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, হত্যার বিচার করার কোন অধিকার চেয়ারম্যানের নেই। যদি সে এ ধরনের কোন কাজ করে আইন অমান্য করে থাকেন তাহলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।