জামালপুর জেলায় চলতি মওসুমে ব্যাপক হারে গুল আলুর চাষ আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার জেলায় আলুর বাম্পা ফলনের আশা করছে আলু চাষিরা। তাই জেলার আলু চাষীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আলু ক্ষেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার বন্যাত্তোর আলু চাষে বাজারে আলুর দাম ভাল পাওয়ার আশার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক।
জানাযায়,এবারের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় কৃষকরা ব্যাপক হারে আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। কৃষকের নিরন্তর পরিশ্রমে এবার আলুর ফলন বেশ ভালো হওয়ার আশা করছেন। ইতোমধ্যে নতুন আলু উঠতে শুরু করেছে বাজারে। এখন বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে।
জামালপুর সদর উপজেলার কালিবাড়ী, চরশী, কামালখান, তিতপল্লা, হাজীপুর বারুয়ামারী ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা লক্ষিরচর নাওভাঙ্গা চর, ইসলামপুরের সিরাজাবাদ, বাহাদুরপুর,কান্দাচর,ডিগ্রীরচর,মেলান্দহের ৫নংচর,আমডাঙ্গা,বালুরচর,দেওয়ানগঞ্জের,বাহাদুররাবাদ,আমখাওয়া,সানন্দবাড়ি,মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ি উপজেলা যমুনা নদীর চরাঞ্চলে ব্যাপক ভাবে আলুর চাষ হয়েছে।
সদর উপজেলার তুলশিরচর এলাকার আলুচাষী বারেক সেক, সুলতান মিয়া, রিপন শেখ, হাজীপুর গ্রামের সুরুজ আলী, হীরা মিয়া পৌরসভার নাওভাংগা চরের গিয়াস উদ্দিন, আকছেদ আলী, বারুয়ামারীর মকছেদ মিয়া ও গেন্দা মিয়া বলেন, বেশী দামে বীজ ও কীটনাশক কিনে আলু আবাদ করেছি। ভাল দাম না পেলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবো আমরা। তারা বলেন, আলু সংরক্ষণে জেলায় পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ নাই। তাই আলু সংরক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি আমরা। এজন্য সরকারের প্রতি তাদের দাবী,সুলভ মূল্যে বীজ, কীটনাশক সরবরাহের পাশাপাশি সহজশর্তে ঋণ প্রদানের করে পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
এ বিষয়ে জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে আলুর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৭ শত হেক্টর জমি। এবার আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫ শত ২৫ হেক্টর জমি। সব মিলিয়ে এবার জেলায় আলু পাওয়া যাবে প্রায় দেড় লক্ষ মেট্্িরক টনের বেশী। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা কৃষকের সমস্যার কথা স্বীকার করে কৃষকের ন্যয্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে অভ্যন্তরীন বাজার সৃষ্টির পাশাপাশি আলু রপ্তানীর উপর জোর দিয়েছেন।
এদিকে কৃষকদের দাবীর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকার পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ স্থাপনের উদ্যোগ নিবেন এমন প্রত্যাশা করছেন এলাকার আলু চাষীরা।