গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পাশর্^বর্তি কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ধনারপাড়া গ্রামে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্মাণ করা সেতুর দুই পাশের কোনো সংযোগ সড়ক নেই। নিচে মাটি থেকে সেতুর উঁচু প্রায় ৬ ফুট। এতে ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে সেতুটি। দু’পাশে মাটি না থাকায় উঠা-নামার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের যানবাহন তো দূরের কথা, সাধারণ মানুষের হেঁটে চলাচলে করতে পারে না। এখন অকেজো হয়ে পড়েছে সড়কবিহীন সেতুটি।
জেলার ফুলছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থ সহায়তায় ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যয়ে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য সেতু নির্মাণ করা হয়। ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের ধনারপাড়া ও সদর উপজেলা বোয়ালী ইউনিয়নের কয়ারপাড়া গ্রামের যোগসূত্রের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটির দু’পাশে কোনো সংযোগ সড়ক না থাকায় পাশের জমির আইল দিয়ে চলাফেরা করছেন ওই এলাকার লোকজন। এই সেতু দিয়ে ধনারপাড়া, চন্দিয়া, হোসেনপুর, কয়ারপাড়া, ছয়ঘরিয়া, বোয়ালী সহ ০৮টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় তাদের দুর্ভোগের যেন অন্ত নেই।
সংযোগ সড়ক ধসে যাওয়ার চার বছর পেরিয়ে গেলেও আজও তা সংস্কার করা হয়নি। ওই এলাকার লোকজন শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে বিপল্পপথে জমির আইল দিয়ে চলাচল করেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোকছেদুল হাউলিদার মাজু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চলতি মৌসুমে রাস্তা নির্মাণ না করলে ফের বর্ষাকালে দুর্ভোগ পোহাতে হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম জানান, সেতুর দুপাশে মাটি না থাকায় তাতে ওঠা যায় না।
সেতুর দু’পাশে মাটি ভরাট ও রাস্তা নির্মাণের জন্য সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তারা। ফুলছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শহীদুজ্জামান শামীম বলেন, সেতুটি দুই পাশের সংযোগ সড়ক না থাকার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। এলাকাবাসীর দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সংযোগ সড়ক নির্মাণের প্রস্তাবনা উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।