কক্সবাজার থেকে দ্বিতীয় দফায় প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশ্য কক্সবাজার ছেড়েছে ১৩ টি বাস। সোমবার উখিয়া কলেজ ক্যাম্পাস থেকে রোহিঙ্গারা রওনা হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। চট্টগ্রামের নৌ-বাহিনীর ঘাট থেকে নৌপথে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
প্রথম দফায় ৪ ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রথম দলে এক হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। প্রথমবারের মতোই এবারও রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র্যাব, পুলিশ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বিতীয় দল প্রথমে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। পরে জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ভর করে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে।
সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। যেখানে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অব্যাহত হামলা, নিপীড়ন ও হত্যার কারণে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয় সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। এরাসহ বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে বসবাস করছে।
সাংবাদিক শফিক আজাদ বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস এলাকাজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃংখলা বাহিনী। সেখানে সাধারণ মানুষের চলা চলেও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।