খুলনার পাইকগাছায় পৃথক দুটি অপহরণ মামলায় ৩ মহিলাসহ ৫ জনকে পুলিশ বিভিন্ন জেলা থেকে আটক করেছে। একজন ভিকটিম উদ্ধার ও আরেকজন নিখোঁজ রয়েছে। মামলার বিরবণ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বর পাইকগাছা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ফকির মার্কেটের সামনে থেকে পাটকেলঘাটার আতোশ আলী মোড়লের স্ত্রী বেগম (৩৫), কয়রার নাকশার সাদেকের স্ত্রী পারভীন আক্তার (৩৩) ও একই এলাকার বাদশা’র স্ত্রী আসমা খাতুন (৩২) জোরপূর্বক নার্গিস আক্তার (৩০) কে অপহরণ করে মাইক্রোবাস যোগে পাটকেলঘাটায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নার্গিসের পিতা আবদুর রাজ্জাক সানা বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় ময়না বেগম (৪৫), আসমা বেগম সহ উল্লিখিত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা করে। মামলার প্রেক্ষিতে ওসি এজাজ শফী’র নির্দেশে এস আই রকিব উদ্দীন পাটকেলঘাটার প্রণব পালের রাইস মিল থেকে ভিকটিমকে সোমবার রাতে উদ্ধার করে। অপরদিকে, হাবিবুর রহমান গাজী অপহরণ মামলায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তালা থানার দেওয়ানীপাড়া গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দীন বিশ্বাসের পুত্র মফিজুল বিশ্বাস ও জাফর বিশ্বাসের ছেলে শাওন বিশ্বাসকে মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানার এস. এম ব্রিকস থেকে পাইকগাছা থানা পুলিশ আটক করে। অপহৃত হাবিবুর উপজেলার রেজাকপুর গ্রামের অপু গাজীর ছেলে। নিখোঁজ হাবিবুরকে ১৪ এপ্রিল’২০ তারিখে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়। দীর্ঘদিন খোঁজ না পাওয়ায় গত ১ ডিসেম্বর পাইকগাছা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপহৃতের পিতা মামলা করলে বিচারক পলাশ কুমার দালাল মামলাটি এজাহারপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসি, পাইকগাছাকে নির্দেশ দেন। এ মামলায় পুলিশ রোববার গভীর রাতে আসামীদের গ্রেপ্তার করে। ভিকটিম এখনও উদ্ধার হয়নি। ওসি এজাজ শফী জানান, ২টি পৃথক অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন ভিকটিম উদ্ধার হলেও অন্যজন খুব দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।