মেহেরপুরে ২য় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী সহ ১ম স্ত্রীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার সকাল ১১ টায় মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষনা করেন। ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের নবীছদ্দীনের ছেলে সাইদুল ইসলাম ও তার ১ম স্ত্রী জমেলা খাতুন। এ রায় ঘোষনার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলা সূত্র জানা গেছে,২০১০ সালে সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের সাইদুল ইসলাম ও তার ১ম স্ত্রী জমেলা খাতুন ২য় স্ত্রী জরিনা খাতুনকে হত্যার পর একটি আলুক্ষেতের মধ্যে পুতে রাখে কয়েকদিন পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হাবিবুর রহমানের স্ত্রী ফেরদ্যেসি খাতুন বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৭ তাং ০৬.০১.২০১০ ইং। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাইদুল ইসলাম ও তার ১ম স্ত্রী জমেলা খাতুনকে আটকের পর আদালতে নেয়া হলে তারা ১৬৪ ধারায় দোষ শিকার করে জবান বন্দি দেয়। এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় ৩জনকে চার্জশীট থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। পরে দীর্ঘ স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে এ মামলার রায় প্রদান করে বিজ্ঞ আদালত।
মেহেরপুরের গাংনীতে দেয়াল চাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
এফএনএস (ফারুক আহমেদ; মেহেরপুর) : গাংনী উপজেলার আযান গ্রামে দেয়াল চাপায় আজাহার আলী (৬০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৪ জানুয়ারি) ভোররাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, আজাহার আলী রোববার সকালে একই গ্রামের আরোজ আলীর মাটির তৈরী ঘর ভাঙ্গার জন্য শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে যান। কাজ করার একপর্যায়ে মাটির ঘরের দেয়াল আকস্মিকভাবে তার শরীরে উপর পড়লে গুরুতর আহত হয়। তাকে অন্য শ্রমিকরা উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসে। সেখানে শরীরিক অবস্থা আঅবনতি হলে কতর্বব্যরত চিকিৎসক তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। কুষ্টিয়া নেয়ার পর ক্রমই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোরে মারা যান।