আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য রায়গঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়রপদে চারজন প্রার্থী লড়াই করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উপজেলা আ.লীগের যুগ্ন-সম্পাদক বর্তমান মেয়র আব্দুল্লাহ আল-পাঠান, সাবেক মেয়র স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন আকন্দ, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়াই করছেন মোট ৩২জন প্রার্থী। প্রার্থীরা হাড়কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে ভোর থেকে মধ্যরাত অবধি বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। চলছে ব্যাপক গণসংযোগ,সমর্থকদের মিছিল-মিটিং-মাইকিং। হোটেল-রেষ্টুরেন্ট সরগরম। প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো পৌর এলাকা। এছাড়াও কাউন্সিলর প্রার্থীরাও জোরেশোরে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার মেয়র পদে ত্রি-মুখী লড়াই হবে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
আব্দুল্লাহ আল পাঠান জানান-তিনি গত ৫ বছরে পৌর এলাকার রাস্তা-ঘাট নির্মাণ, সিএনজি স্ট্যান্ড, মাছের আড়ৎ, সুপেয় পানি সরবরাহ, রাস্তার সোলার বাতি ও ভাঙ্গনমুখী ফুলজোড় নদীতে শহর রক্ষা প্রকল্পের কাজ শুরু করাসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছেন। পুনরায় নির্বাচিত হলে তিনি ‘খ’ শ্রেণির এই পৌরসভাকে ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত করবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।সাবেক মেয়র মোশারফ হোসেন আকন্দ জানান- ‘গ’ শ্রেণির পৌরসভার ৫ লাখ টাকা রাজস্ব ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার মাধ্যমে পৌরসভাকে তিনি ‘খ’ শ্রেণিতে উন্নীত করেছেন। তার আমলেই নির্মিত হয় পৌরবাসীর বহুকাঙ্খিত পৌর ভবন। পৌর এলাকায় একটি প্রাথমিক ও একটি বিজ্ঞান স্কুল তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন। পৌর এলাকায় চলমান কাজের বেশকিছু প্রকল্প প্রস্তাবনা তিনিই করেছিলেন বলে দাবি করেন। জাহিদুল ইসলাম জানান- তিনি নির্বাচিত হলে আধুনিক পৌরসভা প্রতিষ্ঠাসহ দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে জনগণের চাহিদা মাফিক উন্নয়ন কর্মকা- করবেন এবং বাল্য বিবাহ মুক্ত, মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়ে তুলবেন। আনোয়ার হোসেন জানান-তিনি নির্বাচিত হলে পৌর এলাকার সকল মসজিদের ইমাম ও মন্দির সমূহের পুরোহিতদের ভাতা প্রদান করাসহ অসহায় নিরাশ্রয়দের আশ্রয়, দরিদ্র শ্রেণির শিশুদের পড়ালেখা ও হতদরিদ্রের জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা করবেন।