রাজবাড়ীতে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের একটি মামলার নথি চুরির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজবাড়ী মূখ্য বিচারিক হাকিম (চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট) আদালতের বিচারক তারেক মঈনুল ইসলাম ভূইয়া বুধবার দুপুরে এই আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামীপক্ষের আইনজীবী তসলিম আহমেদ।
আইনজীবীর নাম সুদীপ্ত গুহ আশীষ। তিনি শহরের সজ্জনকান্দার বাসিন্দা। আইনজীবীসহ মোট তিনজনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে সদর থানায় ৩০ অক্টোবর দুপুরে মামলা দায়ের করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবদুল ওদুদ খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অন্য দুইজন আসামি হলো লক্ষ্মণ কুমার ও মাসুদুর রহমান। মামলা দায়েরের পর তিনি হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। আজ তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অভিযোগকারী আবদুল ওদুদ খান বলেন, আদালত থেকে মামলার নথি লিখিত আবেদন করে দেখতে হয়। কিন্তু মানবিক কারণে মৌখিক আবেদনের প্রেক্ষিতে নথি দেখতে দেওয়া হয়। ২৫ অক্টোবর ওই আইনজীবী মামলার নথি দেখতে মৌখিক আবেদন করেন। তাকে নথি সেরেস্তায় বসে নথি দেখতে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে আদালতের সহকারী লিটন উপস্থিত ছিল। লিটন তাঁর পেশাগত কাজ করতে ছিলেন। একপর্যায়ে কৌশলে আইনজীবী সুদীপ্ত গুহ নথিটি চলে যান। তাকে কক্ষে দেখতে না পেয়ে কক্ষের বাইরে এসে দেখতে পান তিনি চলে যাচ্ছেন। তাকে ডাকতে ডাকতে পিছনে ছুটতে থাকেন লিটন। কিন্তু তিনি নিজের গাড়ি চেপে চলে যান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে বারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করা হয়। তাঁরা মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে আইনজীবী সমিতির নেতারা অভিযুক্ত আইনজীবীর বাড়িতে গিয়ে ছিলেন। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি। বিভিন্নভাবে নথি উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আইনজীবী তসলিম আহমেদ বলেন, আইনজীবী সুদীপ্ত গুহ হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।