বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণকারী রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক পরিবহন ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের দূর্ঘটনায় নিহত সদস্যদের পরিবারের হাতে মৃত্যু তহবিলের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। রোববার (১০ জানুয়ারী) দুপুরে কাপ্তাই জেটিঘাটস্থ সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে এককালীন ৮টি পরিবারের হাতে পরিবার প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মোট ৪ লাখ টাকা তুলে দেন রাঙ্গামাটি জেলা সড়ক পরিবহন ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শাহাদাত হোসেন।
এসময় সংগঠনের সাধারন সম্পাদক মোঃ ইউসুফ, সহ সাধারন সম্পাদক মোঃ আকতার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলী, অর্থ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সভাপতি আবু তাহেরসহ কার্যকরি কমিটির সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মোঃ শাহাদাত হোসেন উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, গত ২০১৪ সালে সংসদ নির্বাচনের ২০১৫ সালে লাগাতার ৯৩ দিন অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সরকারের পূর্ণ সমর্থন দিয়ে রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে সারা দেশে ৮০ হাজার শ্রমিক কাফনের কাপড় দাফন করার জন্য গলায় নিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রাণ হারায়। আর এতে স্ত্রী হারালো স্বামী, মা হারালো ছেলে, সন্তান হারালো বাবা, ছেলে মেয়ে হয়েছে এতিম, বিনিময়ে কি পেলাম আমরা? তাই আশা করেছিলাম সরকার প্রধান অন্তত সহৃদয়তার সাথে আমাদের পরিবহণ শ্রমিকদের আন্তরিকতা দেখাবেন। কিন্তু কোন প্রকার সহযোগিতা না করে আমাদেরকে মালোশিয়া থেকে মোমবাতি দিয়ে বার্ণিশ করা রশি এনে ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন পাশ করলো। আর কোন সড়ক দূর্ঘটনা ঘটলে ঘাতক ড্রাইভার পলাতক লেখা হয়। কিন্তু ২০১৫ সালে ৯৩জন শ্রমিক প্রাণ হারায় দেশের জন্য। সেই সময় এই ৯৩জন চালকের প্রাণ হারানোর সংবাদটি কেউ লিখতে পারেনি। তাই বর্তমানে এই দেশের পরিবহন শ্রমিক একমাত্র অসহায় বিধায় সরকারের কাছে আমাদের প্রাণে দাবী পরিবহন শ্রমিকদের সু-দৃষ্টিতে দেখে ২০১৮ সড়ক পরিবহন আইন পাশ করা হয়েছে তা সংশোধনসহ চালকদের শ্রেনী অনুযায়ী যেন ডি এল প্রদান ও বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের কারণে সকল প্রতিষ্ঠান সরকারী ভাবে ত্রাণ সামগ্রী পেয়েছে। এই সুবিধা বিবেচনা করে পরিবহন শ্রমিক রাষ্ট্রের সুবিধার্থে ৫ বছরের অগ্রিম রেভেনিউ প্রদান করা যাতে হয়।