গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি: আগামী ১৬ জানুয়ারী নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দ্বিতীয়দফা নির্বাচনে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাট পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারী ) মধ্যরাতে প্রচার প্রচারণা শেষ হচ্ছে। প্রচারণার শেষ মুহুর্তে নৌকার প্রার্থী একেএম আতাউর রহমানের প্রচার প্রচারণা তুঙ্গে উঠেছে। তার পক্ষে জনসাধারণ, এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা বিশাল মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে জয়ধ্বনি দিয়ে শো-ডাউন দিচ্ছে পৌর এলাকার ৯ টি ওয়ার্ডে। এতে করে ব্যাপক সারা পাচ্ছে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রবীণ নেতা একেএম আতাউর রহমান খান।
নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রামে গিয়ে জনসাধারণের সাথে কথা বলছেন এবং দেশরতœ শেখ হাসিনার মার্কা নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এলাকার প্রবীণ বাসিন্দারা একেএম আতাউর রহমান খানকে কাকনহাট পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত করে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে আশাবাদী হচ্ছেন। কেননা এক সময়ের রিশিকুল ইউনিয়নের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। এই ইউনিয়ন ভেঙ্গে কাকনহাট পৌরসভা গঠন করা হয়েছে তাই তিনি এখানকার দলমত নির্বিশেষ সকলের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হবে বলে জানান এলাকাবাসি।
এছাড়াও মেয়র প্রার্থী একেএম আতাউর রহমান খান এর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের পাশে ছিলেন। এছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাড়াও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
নৌকার মনোনিত প্রার্থী একেএম আতাউর রহমান খান বলেন, দেশরতœ শেখ হাসিনা আমাকে ভেবে চিন্তেই নৌকা প্রতীক দিয়েছে। আমি দীর্ঘদিন দলের সাথে আছি। আমি জনগণের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলে সকল অনিয়ম দুর্নীতির উর্দ্ধে থেকে সকল মানুষের জন্য জনসেবা করে যাবো। এলাকার দীর্ঘদিনের সমস্যা গুলো চিহিৃত করে আগামী দিনে উন্নয়ন করে এলাকার মানুষের উন্নয়নের ভাগ্য ফেরাবে বলে মন্তব্য করেন।
অপর দিকে বিএনপি দলীয় মনোনিত প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজও ধানের শীষের প্রতীক নিয়ে মাঠ চুষে বেড়াচ্ছেন। দিচ্ছেন উন্নয়নের নানান প্রতিশ্রুতি। ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা ও এলাকার মুরুব্বিদের দোয়া নিতে দেখা গেছে। গ্রামের নারীদের কাছে গিয়ে ভোটে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। উপজেলা বিএনপিসহ রাজশাহী-১ আসনের প্রায়াত সাংসদ ও মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হকের ছোট ভাই ব্রিগেডার জেনারেল (অব:) মো: শরীফকে নির্বাচনী মাঠে দেখা গেছে। এই সময় উপজেলা বিএনপির নেতার সাথে ছিলেন।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মালেক বলেন, আমরা জয়ের ব্যাপারে শত ভাগ আশাবাদি। স্বচ্ছ ও সুষ্ঠ ভোট হলে জনগনের রায়ে হাফিজুর রহমান হাফিজ বিজয়ী হবে বলে জানান।
নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মুহুর্তে পৌরবাসী দেখার অপেক্ষায় আছে কে হচ্ছেন কাকনহাট পৌরসভার মেয়র।
সহকারি রিটার্নি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো: মশিউর রহমান বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারী কাকনহাট পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের কোন অভিযোগ নেই। সবাই আপন আপন নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে শান্তিপূর্ণ ভাবে। আশা করা যায় ভোট সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে বলে জানান। তিনি দলমত নির্বিশেষ সকলের কাছে নির্বাচনী কাজে সহযোগিতা চেয়ে বলেন ইতোমধ্যে নির্বাচন গ্রহণের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েচে।
কাকনহাট পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ২২৫। নারী ভোটার ৬ হাজার ৪২৬ এবং পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৮৯৯ জন।