৬৬ হাজার মেট্রিকটন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিএসিডিসি‘র ত্বত্তাবধানে আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্পের চলতি বছরের সেচের পানি অবমুক্ত করা হয়েছে। বিএডিসি এর পুর্বাঞ্চলের সেচ বিভাগের অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী আবদুল করিম প্রধান অতিথি হিসাবে পানি অবমুক্ত উদ্বোধন করেন। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের অভ্যন্তরে ইনটেক পয়েন্ট প্রধান স্লুইস গেট খুলে দিয়ে এ পানি অবমুক্ত করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি, বিএডিসি এর পুর্বাঞ্চলের সেচ বিভাগের অতিরিক্তি প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল করিম, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরবিন্দ বিশ্বাস, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল হক মৃদুল, নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক ওবায়েদ হোসেন, সহকারী প্রকৌশলী খলিলুর রহমান .আশুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
আশুগঞ্জ-পলাশ এগ্রো ইরিগেশন সেচ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালে ব্যক্তি উদ্যোগে এবং ১৯৭৮-৭৯ অর্থবছর থেকে বিএডিসির তত্তাবধানে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্যপানি রেগুলেটরের মাধ্যমে গতিপথ পরিবর্তন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, সরাইল, নবীনগর এবং সদর উপজেলার প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে নামমাত্র মূল্যে সেচ সুবিধা দেয়া হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুল করিম বলেন, চলতি ইরি-বোরে মৌসুমে কৃষকদের পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা জন্য পানি অবমুক্ত করা হয়েছে। কোথায় পানি চলাচলে বাধাঁ সৃষ্টি হলে সেখানেই প্রতিবন্ধকতা দূর করে পানি চলাচল নিশ্চিত করা হবে। এই বিষয়ে সকলেই আন্তরিক। আশা করি পানি প্রবাহে কোন বাধা থাকবে না এবং কৃষকরা নির্বিঘেœ তাদের ফসলি জমিতে পানি পাবে।