শেরপুরের নালিতাবাড়ীর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সুমি আক্তার (৮)। রান্না করতে গিয়ে শরীরে আগুন লেগে বাম হাতের নিচের অংশে শরীরের ৩০ ভাগ পুড়ে গেছে। উপজেলা পর্যায়ে সুমির চিকিৎসা চললেও ওষধ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচের জন্য এই মুহুর্তে সুমির আর্থিক সহায়তার ভীষন প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। সুমির বাড়ী উপজেলার শেকেরকুড়া গ্রামে।
সুমির বাবা শুকুর আলী জানান, সুমির মা তিন বছর আগে অন্যের হাত ধরে চলে যাওয়ায় সুমি ও দুই ভাইসহ তাদের চারজনের সংসার চলছে। তাই ঘরে মা’ না থাকায় রান্নাবান্নার কাজ সুমিকেই করতে হয়। প্রায় এক মাস আগে সকালে রান্না করার সময় অসাবধানতাবশত পরনের জামায় আগুন লেগে শরীর পুড়ে গেলে নালিতাবাড়ী হাসপাতালে সুমিকে ভর্তি করা হয়। সরকারীভাবে চিকিৎসা চললেও কিছু ওষুধ ও পথ্য হাসপাতালের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। যা সুমীর দরিদ্র বাবার পক্ষে তা সম্ভব হচ্ছে না।
নালিতাবাড়ী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ সাব্বির হোসেন বলেন, আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। সুমীর শরীরের প্রায় ৩০ ভাগ পুড়ে গিয়েছিল। এখন আস্তে আস্তে সেরে উঠছে। সম্পুর্ণ সুস্থ্য হতে দীর্ঘ সময় লাগবে। এদিকে, সুমির এই দীর্ঘ চিকিৎসার ব্যয়ভার মিটাতে চিকিৎসা সহায়তা চেয়েছেন তার বাবা শুকুর আলী, যোগাযোগ, মোবাইল নং ০১৩২২১৩৯০১৮।