অনুকুল আবহাওয়া ও শীতের তেমন প্রকোপ না থাকায় এবার পিরোজপুরের কাউখালীতে পানের আবাদ ভালো হয়েছে। গত বছর শীত ও ঘণকুয়াশার কারণে পানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও এবার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি পান চাষিরা।
পান ক্রেতা সাইফুল বলেন, পান-সুপারির যেভাবে দাম বাড়ছে তাতে মধ্যবিত্তের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। দিন দিন পানের দাম বাড়ায় অনেকে এরইমধ্যে কমিয়ে দিয়েছেন পান খাওয়া।
অপরদিকে এবার পানের ভালো দাম পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। চলতি মৌসুমে যেসব চাষিদের পানের বাম্পার ফলন হয়েছে তারা এখন বেজায় খুশিতে।
কাউখালীর বেশ কয়েকজন চাষি জানান, চলতি মৌসুমে যাদের ফলন ভালো হয়েছে তারা দামও তেমন পাচ্ছেন। পান চাষ নিয়ে এ বছর চাষিদের মুখে হাসি।
বিগত বছরগুলোতে পানের দাম ভালো না পেলেও এবার পানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় পান চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে এই কৃষকদের। এদিকে, পানের বরজ বৃদ্ধির সাথে সাথে এই এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে, সারা বছর পানের বরজে কাজ করে সুন্দরভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন এখানকার কয়েক শতাধিক দিনমজুর পরিবার।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, কাউখালীসহ আশ-পাশের উপজেলাগুলোতে পানের বাজার এখন বেশ চড়া। হাটবাজার ও পাইকারি মোকামগুলোতে সর্বকালের রেকর্ডমূল্যে বিক্রি হচ্ছে পান। মোকামের একাধিক পাইকারি পান ব্যবসায়ী জানান, ভালোমানের পান এক জোড়া (৯৬টি) বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০ টাকা, মাঝারি মানের প্রতি জোড়া পান বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, যা আগে ছিল ১২০ টাকা ও ছোট আকারের পানের প্রতি জোড়া বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, যা আগে ছিল ৫০ টাকা করে।
এখানে সপ্তাহে দু’দিন সোম ও শুক্রবার লাখ লাখ টাকার পান দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়। পানের হাট বাজার গিয়ে দেখা গেছে, বেচা-কেনা করতে কয়েক’শ চাষি পান নিয়ে বাজারে বসেন। আর ঢাকা, খুলনা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা চাষিদের কাছ থেকে পান কিনছেন। এসব পান ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যান।
কাউখালী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রিপন চন্দ্র ভদ্র জানান, এই উপজেলায় ১০৫ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হচ্ছে। উপজেলায় ৬৫৫টির মতো পানের বরজ রযেছে। উপজেলার পান চাষিদের সব ধরণের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।