পাবনার চাটমোহরে আনুমানিক দুইশ’ গজ দুরুত্ব আর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে চুরি হয়েছে দু’টি দামি মোটরসাইকেল। এনিয়ে তিন সপ্তাহে চুরি হয়েছে ৩ মোটরসাইকেল। মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে মোটরসাইকেল মালিকদের মাঝে। চুরি যাওয়া মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার বা চুরির ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনও আইনের আওতায় আনার খবর পাওয়া যায়নি। চাটমোহর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলছেন, মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন,সর্বশেষ মোটরসাইকেলটি চুরি হয় বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ। পৌর শহরের ছোট শালিখা মহল্লার বাসিন্দা নিজাম উদ্দিনের বাসার সামনে থেকে। প্লাটিনা ব্রা-ের ১০০ সিসির মোটরসাইকেলটির মালিক বিদ্যুৎ মিস্ত্রি জিয়া। কাজীপাড়ার বাসিন্দা জিয়া মোটরসাইকেলটি বাড়ির সামনে রেখে নিজাম উদ্দিনের বাড়ির ভেতরে কাজ করছিলেন। এর একদিন আগে মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ডিসকভারি ব্রা-ের ১২৫ সিসির একটি মোটরসাইকেল চুরি হয় রইস উদ্দিনের বাড়ির সামনে থেকে। মোটরসাইকেলটি রইস উদ্দিনের ভাড়াটিয়া আশরাফুল ইসলামের। সাব রেজিস্ট্রে অফিসের এক্সট্রা মোহরার আশরাফুল ইসলাম মোটরসাইকেলটি বাড়ির গেটে রেখে তার ভাড়া বাসায় আগত মেহমানদের সঙ্গে দেখা করতে ঢুকেন। আধাঘণ্টা পর এসে দেখেন মোটরসাইকেলটি নেই। নিজাম উদ্দিন ও রইস উদ্দিনের বাড়ির দুরুত্ব আনুমানিক দুইশ’ গজ। এর আগে জানুয়ারির প্রথম দিকে একইভাবে নিজের মোটর সাইকেল হারান পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কমিশনার সাকিবুর ইসলাম অপু। মধ্য শালিখা মহল্লায় নিজের বাড়ির সামনে থেকে তার বাজাজ ব্রা-ের ১২৫ সিসির মোটরসাইকেল নিয়ে যায় চোর। প্রত্যেকটি ঘটনায়ই পুলিশকে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
চাটমোহর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলছেন,মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত,তাদের গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ। সবগুলো মোটরসাইকেলই উদ্ধার হবে। মোটরসাইকেল পার্কিংকালে অধিক সর্তকতা অবলম্বন করতে মোটরসাইকেল চালক ও মালিকদের পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।