দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে পল্লীতে সেচের পানির বকেয়া টাকা চাওয়ায় সেচঘর ভাংচুর ও বাধা প্রদানকারিদের উপর অতর্কিত হামলায় দুই যুবক আহত হয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহত যুবক কামরুল হাসান সোহাগ (৩৩) দিনাজপুর আদালতে বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট থানা পুলিশকে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহারসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের দল্লা কৃষক সমবায় সমিতির এলএলপি পাম্প ঘরের সামনে গত ২৩ জানুয়ারী বিকেল ৩ টার সময় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, দল্লা কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান ১৫ বছর যাবত ৫ কিউসেক পাম্পটি পরিচালনা করে আসছেন। ওই সমিতির সদস্য একই এলাকার আবদুল মাজিদ নামে এক কৃষক বিগত ২ বছরের সেচের পানির বকেয়া টাকা না দেয়ায় সমিতির সদস্যগণ তার জমিতে পানি সরবরাহ না করার সিদ্ধান্ত নিলে ও বকেয়া টাকা চাওয়ায় ওই কৃষক ও তার পরিবারের সদস্য হাফসা আকতার সেতু (২৩), মোস্তারিনা বেগম (২৭), দেলোয়ার হোসেন (৩৫), সেকেন্দার আলী (৩২)সহ আন্যান্য সদস্যবৃন্দ ক্ষিপ্ত পাম্পের ঘরটি ভাংচুর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তারা বাধা প্রদানকারি কামরুল হাসান সোহাগ ও আমজাদ নামে অপর যুবককে এলোপাথারী মারপিটসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশি লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
চিরিরবন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। বর্তমানে তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সুস্থ্য হতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে।
চিরিরবন্দর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ সুব্রত কুমার সরকার জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানান, ঘটনার পর হতে সেচ পাম্পটি বন্ধ থাকায় চলমান বোরো মৌসুমে পানি সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় তারা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। দ্রুত তারা পাম্পটি চালুর জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।