বিদেশ থেকে আলুর বীজ আমদানির ওপর বাংলাদেশকে আর নির্ভরশীল থাকতে হবে না। আমাদের দেশের উৎপাদিত আলুর বীজ এখন থেকে বিদেশে রপ্তানি হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। রোববার সকালে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ আলু উৎপাদন খামার পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় রপ্তানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর প্লট, আলু ফসলের মিউজিয়াম, ড্রাগন ও খেজুর বাগান পরিদর্শন করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, বলেন বর্তমানে বছরে ১ কোটি টনের বেশি উন্নত জাতের আলু উৎপাদন হয়। দেশে আলুর বীজের চাহিদা রয়েছে ৬০-৭০ লাখ টনের মতো। দেশে উৎপাদিত আলুতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিদেশে চাহিদা কম। সেজন্য বিদেশের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে রপ্তানি ও শিল্পে ব্যবহারযোগ্য আলুর আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে নিরলস কাজ করছে। এ সময় কৃষি সচিব মেজবাহুল ইসলাম, বিএডিসির চেয়ারম্যান সায়েদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আসাদুল্লাহ, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইছরাইল হোসেন, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোখলেছুর রহমান, নীলফামারীর পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদসহ কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, বিএডিসির মানসম্পন্ন বীজ আলু উৎপাদন, সংরক্ষণ ও কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় ডোমার খামারে ভিত্তি বীজ আলু উৎপাদন করা হচ্ছে। পাশাপাশি নতুন জাতের উপযোগিতা যাচাইয়ের জন্য ট্রায়াল প্লট স্থাপন ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ২৮টি জোনে চুক্তিবদ্ধ চাষির মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ব্যবহৃত/প্রত্যায়িত বীজ আলু উৎপাদন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় উচ্চ ফলনশীল, রপ্তানি ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত পরিচিতি ও জনপ্রিয়করণের জন্য বিএডিসি আমদানিকৃত এবং বারি উদ্ভাবিত সম্ভামনাময় ২০টি জাত নিয়ে এ বছর সারাদেশে ৩০০টি প্রদর্শনী প্লট ও মাল্টিলোকেশন টেস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে উৎপাদন বর্ষে বিভিন্ন মানের ৩৭ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন বীজ আলু এবং ৫ হাজার মেট্রিক টন রপ্তানি উপযোগী আলুসহ সর্বমোট ৪২ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।