পাবনার সুজানগরে উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সর্ববৃহৎ ষাঁড় পালন করে ঈর্ষান্বিত সফলতা অর্জন করেছে আব্দুল্লাহ আল-মামুন নামে এক যুবক। তিনি উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের হুদারপাড়া গ্রামের ওমর আলী প্রামাণিকের ছেলে। ছাত্রজীবন থেকেইে মামুনের স্বপ্ন ছিল বিশাল বড় একটি ষাঁড় পালন করে পাবনাবাসীর নজরকাড়া। কিন্তু তার বৃহৎ ঐ ষাঁড় পাবনাবাসীর নজর ছাপিয়ে বর্তমানে উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড়ের জায়গা দখল করে নিয়েছে। মামুন জানান, ৩ বছর আগে স্থানীয় একটি হাট থেকে ১লাখ টাকা দিয়ে হলস্টেইন জাতের একটি কালো রংয়ের বাছুর কিনে তিনি লালন-পালন শুরু করেন। স্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেখে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ায়ে লালন-পালন করা ঐ বাছুর এক বছর যেতে না যেতেই চোখে পড়ারমতো একটি ষাঁড়ে পরিণত হয়। এরপর তিনি মনে প্রাণে ষাঁড়টিকে পাবনা জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং দৃষ্টিনন্দন ষাঁড়ে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেন। একপর্যায়ে তিনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শক্রমে ষাঁড়টিকে সময়োপযোগী ওষুধ-পত্র খাওয়ানোর পাশাপাশি বিশেষ করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ায়ে লালন-পালন করতে থাকেন। অবশ্য এজন্য তিনি প্রতি বছর বাড়ির পাশের জমিতে ২/৩ বিঘা করে ভুট্টা, জব এবং নেপিয়ার জাতের ঘাস আবাদ করেন। তাছাড়া কালাইয়ের ভুসি এবং ধানের খড়সহ অন্যান্য উপাদেয় খাবারতো আছেই। সবমিলিয়ে ষাঁড়টিকে প্রতি বছর প্রায় ৭/৮লাখ টাকার খাবার খাওয়ান তিনি। এভাবে দীর্ঘ ৩বছর লালন-পালন করার পর বর্তমানে ষাঁড়টির ওজন হয়েছে প্রায় ৩৭মণ। আর লম্বা ১০ফুট এবং উচ্চতা সাড়ে ৬ফুট। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ আঃ লতিফ জানান, স্থানীয় জনমতো তথা সংশ্লিষ্ট বিভাগের তথ্যমতে ষাঁড়টি কেবল পাবনা জেলা নয়, উত্তরাঞ্চলের মধ্যে সর্ববৃহৎ এবং দৃষ্টিনন্দন। প্রতিদিন শত শত উৎসুক নারী-পুরুষ ষাঁড়টি দেখতে মামুনের বাড়িতে ভীড় করছেন। এদের মধ্যে অনেকে আবার ষাঁড়টি কিনে নিতে দাম-দরও করছেন। ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ৫০লাখ টাকা। তবে স্থানীয় গরুর বেপারিরা বিভিন্ন কোরবানির পশুর হাট-বাজার মূল্যায়ন করে বলেন ষাঁড়টির দাম ৪০/৪২লাখ টাকা হতে পারে।