নীলফামারীসহ আশপাশের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে কয়েক দিন থেকে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এ শৈত্য প্রবাহের ফলে জেঁকে বসেছে প্রচন্ড শীত। উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েই চলছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষজন। সব মিলিয়ে নাকাল উত্তরের জনজীবন। ৩১ জানুয়ারি সকালে জেলার সৈয়দপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে রোববার পর্যন্ত বেলা গড়িয়ে রোদের দেখা কিছুটা মিলে থাকে। তবে হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য। যার কারণে দিনভরই শীতে জবুথবু থাকতে হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানান, ৬ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায় এবং ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। সৈয়দপুর শহরের বিশষ্ট চাল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর ও হোটেল ব্যবসায়ী মতিয়ার রহমান বলেন, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠা-া বাতাসে কাবু করে দিচ্ছে। সারা রাত কনকনে ঠা-া। তবে দিনের বেলা হালকা রোদ উঠলেও ঠা-া যায় না। সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে থাকা খুবই কঠিন। ফলে বিকেল হলেই শহরে লোকজনের ভিড় থাকছে অনেকটা কম। আবহাওয়া অফিস বলছে, সৈয়দপুরে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এমন অবস্থা থাকবে আরও কয়েকদিন। সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান সৈয়দপুরে হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমেছে। শনিবার যে তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সেখানে রোববার ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা আরও কমবে।