পাবনার সুজানগরের অধিকাংশ মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকবিদ্যালয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনার থাকলেও সুজানগরের একমাত্র মহিলা ডিগ্রি কলেজে শহীদ মিনার নেই। ১৯৯৮সালে উপজেলা সদরের প্রাণ কেন্দ্রে ওই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কলেজ প্রতিষ্ঠার ২৩বছর অতিবাহিত হতে চললেও অদ্যাবধি সেখানে ভাষা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। এতে এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ সরদার বলেন যেকোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করা বাঞ্চনীয়। কেননা ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধসহ যেকোন আন্দোলন সংগ্রামে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগ এবং আত্মাহুতির বিনিময়ে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে মাতৃভাষা বাংলা এবং স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। সুতরাং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদ মিনার না থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নিন্দনীয় কাজ। সুজানগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মাস্টার বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী বহুমুখী জ্ঞান অর্জন করে থাকে। কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্মৃতিসৌধ, মিনার, ম্যুরাল বা ঐতিহাসিক যে কোন নির্দশন থাকা মানে সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হওয়া। কাজেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকাটা একদিকে শহীদদের প্রতি চরম উদাসীনতা, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত করা। এ ব্যাপারে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী বলেন উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনার রয়েছে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঐ শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সেকারণে কলেজে শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়নি। তবে শহীদ মিনার নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।