রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর এলাকায় সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ১৯ বছর যাবত শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন সহকারি অধ্যাপক রাম গোপাল সাহা।
প্রতি বছর তিনি সরস্বতী পূজার দিন সকাল থেকে শিশুদের মাঝে বিনামূল্যে এই শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেন। পূজা মন্ডবে পূজা দেখতে আসা শিশুদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রীর মধ্যে শিশুদের ছড়া ও ছবির বই, প্যাড খাতা, ডিকসনারী, পেন্সিল বক্র, টিফিন বক্র, গীতা, কলম, চকপেন্সিল, স্লেট, বই, খাতা ইত্যাদি বিতরণ করেন। রাম গোপাল সাহা আড়ানী পৌর বাজারের নিজ উদ্দ্যেগে বাড়ির আঙ্গিনায় সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠান করেন। তিনি তমামতলা ডিগ্রী কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক। বাবা রবীন্দ্র কান্তি সাহা ও মাতা শুচী বালা সাহা। এক ছেলে ও এক মেয়ে। এরমধ্যে ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বিভাগে লেখা পড়া করছে। মেয়েকে অনাত্রে বিয়ে দিয়েছেন।
তবে তার দাদু প্রয়াত মনীন্দ্র নাথা সাহা বিশিষ্ঠ লেখক ছিলেন। তার প্রকাশিত ২৬টি বিভিন্ন বিষয়ের উপর গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এরমধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য তমালতলার হাট, লাক টাকা, ঝড়া ফুল, একদা নিশীতে প্রভৃতি। তার ধারবাহিকতায় সহকারি অধ্যাপক রাম গোপাল সাহা ১৯ বছর যাবত শিশুদের মাঝে সরস্বতী পূজাতে শিক্ষা সামগ্রী বিতরন করে আসছেন।
আড়ানী পৌর এলাকার ৭ বছরের শিশু তৃপ্তি কুমার পেন্সিল বক্র হাতে পেয়ে খুশি। সে গত বছর এই মন্ডব থেকে একটি টিফিন বক্র পেয়েছিল। এবার একটি পেন্সিল বক্র পেয়ে খুশি।
আড়ানী সরকারি মনোমোহিনী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, অধ্যাপক রাম গোপাল সাহা প্রতি বছর সরস্বতী পূজাতে শিশুদের মাঝে শিক্ষা সমাগ্রী বিতরণ করেন এটা আমি জানি। তবে তার এই উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানান।
অধ্যাপক রাম গোপাল সাহা বলেন, আমার ভালো লাগা থেকে এই কাজ করি। শিশুদের আমার মরহুম দাদু ও মরহুম বাবা খুব ভালো বাসতেন। এ ছাড়া আমার দাদু শিশুদের নিয়ে লেখালেখি করতেন। আমাকেও শিশুদের ভালো লাগে, তাই আমি ১৯ বছর যাবত এই শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করছি। এ ছাড়া তিনি বলেন, আড়ানী পৌর এলাকায় ৫৭টিসহ বাঘা উপজেলায় আড়াই শতাধিক সরস্বতী পূজা উদযাপন হচ্ছে।