রাজবাড়ীতে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে শহরের দক্ষিণভবানীপুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত যুবক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত যুবকের নাম রুবেল সরদার (৩৪)। তিনি দক্ষিণভবানীপুর গ্রামের আলম সরদারের ছেলে।
আহত রুবেলের বাবা আলম সরদার অভিযোগ করেন, ‘তিনি চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করি। তাঁদের সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ নেই। তবে দোকান সংলগ্ন মার্কেট মালিক তাদের বিভিন্ন সময়ে হয়রানী করেন। বছরখানেক আগেও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দেওয়া হয়। ছয়-সাত মাস আগে মার্কেট মালিক পলিনের (অলিউজ্জামান মিয়া) ছোট সন্তানকে গায়ে গরম পানি ঢেলে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। পলিন তাদের (আলম) বাবা-ছেলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। তাঁর ছেলে হামলাকারী কয়েকজনের নাম বলেছে। হামলাকারীরা হলো রানা, রবিন, শাকিল আহমেদ ও তানভীরসহ কয়েকজন। হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হলে আসল কারণ জানা যাবে।’
তিনি বলেন, ছেলেকে প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে রাত ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজহাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, রাত আটটার দিকে কথা আছে বলে কয়েকজন রুবেলকে ডেকে নেয়। এরপর তাকে রানাদের বাড়ির সামনে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। একপর্যায়ে রুবেল দৌড়ে পাশের এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। বাড়ির গৃহকর্তী হেললালের স্ত্রী তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে অলিউজ্জামান মিয়া পলিন বলেন, আমার বা আমার পরিবারের কারো জীবননাশের হুমকি হলে তো মামলা করা হতেই পারে। আমি এখানে থাকি না। আমতলীকে চাকুরি করি। তাঁর সাথে আমার কোনো ঝামেলা নেই। আমার বাড়ির সামনে তাঁর দোকান আছে। আর খামোখা কেউ কারো বিরুদ্ধে মামলা করেনা। কেউ অবৈধদোকান দিয়ে বাড়ির সামনে বসে থাকলে সেতো আইনের আশ্রয় নেবে। ওদের লেভেল আর আমার লেভেল এক নয়। আমি পরে হামলার কথা শুনেছি। হামলার সঙ্গে আমি কোনো ভাবেই জড়িত নই।
রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, মাদক নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝামেলার কারণে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে। হামলাকারীরা পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।