রাজশাহীর চারঘাট পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় নির্বাচণী মাঠে গনসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মেয়র প্রার্থী একরামুল হক। তবে নির্বাচনের মাঠে নিরব বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল।
নির্বাচন কার্যালয় থেকে জানা গেছে, আসন্ন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের একরামুল হক (নৌকা) এবং বিএনপির বর্তমান মেয়র জাকিরুল ইসলাম বিকুল (ধানের শীষ)। এছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ৩১ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হিসাবে ১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থী একরামুল হক শীতকে উপেক্ষা করে প্রতিদিনই নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার-প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। চষে বেড়াচ্ছেন পুরো নির্বাচনী এলাকা। কার্যত প্রচার-প্রচারনায় অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী একরামুল হক।
অন্যদিকে নির্বাচনী মাঠে তেমন ভাবে দেখা নেই বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুলের। দুএকটি এলাকায় প্রচারনা করতে দেখা গেলেও ব্যাপার, পোষ্টার ও মাইকিং ছাড়াই চলছে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর প্রচারণা।
বিষয়টি সম্পর্কে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুলের দাবি গত শনিবার মিথ্যা অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আমার নির্বাচনী প্রচারনা মিছিলের ওপর হামলা চালিয়েছে। আবার তারাই আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আমরা পোষ্টার লাগালে রাতের আধাঁরে ছিড়ে ফেলছে। মাইকিং করতে গেলে বাধা প্রদান করছে। আমরা কিভাবে প্রচারনা করবো সেটিই বুঝতে পারছি না।
অপর দিকে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী একরামুল হক বলেন, শনিবার বিএনপির মেয়র প্রার্থী বিকুলের সমর্থকরা আমার নৌকা প্রতীকের পোষ্টারের ওপর পোষ্টার টানায় এবং নৌকার পোষ্টার ছিড়ে ফেলে ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে পুরো চারঘাটকে অশান্ত করে তোলে। একপর্যায়ে লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৭জনকে আহত করেছে। যারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার পরেও আমরা ধৈর্য্য ধারন করে শান্তিপুর্ণ ভাবে প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। বিএনপির মেয়র প্রার্থী মুলত নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এমন মিথ্যা বানোয়াট কথা বলছে।
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা জানান, তফসিল ঘোষনা অনুযায়ী ইতোমধ্যে চারঘাট পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেই হিসাবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে এ পৌরসভার নির্বাচন। নির্বাচনে সকল প্রাথীদের আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রচারনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। কেউ আচরনবিধি লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। তার পরেও যদি কোন প্রার্থী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেন তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।