ম্যারাথন দৌড়ের মাধ্যমে একজন ক্রীড়াবিদের আসল পরিচয় ঘটে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। তিনি বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি আগামী প্রজন্মকে খেলাধুলার মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে। রাঙ্গামাটি অঞ্চলে রাঙ্গামাটি রিজিয়ন যে ম্যারাথন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে তার জন্য তিনি রিজিয়নকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই ম্যারাথমে প্রতিযোগিতায় যারা পুরস্কৃত হয়েছে তারা বিভিন্ন বয়সী। এতেই বোঝা যায় ম্যারাথনে কোন বয়স লাগে না। একজন ক্রীড়াবিদ যে কোন বয়সেই এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামী বছরগুলোতে আরো বড়ো আয়োজনের মাধ্যমে রাঙ্গামাটিতে ম্যারাথন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে রাঙ্গামাটি আর্মি ষ্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী এবং স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঢাকা ম্যারাথনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেকুর রহমান পিএসসি, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ, রাঙ্গামাটি সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল রফিকুল ইসলাম পিএসসি, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরাসহ পদস্থ সেনা কর্মকর্তা অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় রাঙ্গামাটি জেলার প্রায় ১হাজার ৫৩০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। রাঙ্গামাটি সাপছড়ি স্কুল মাঠে থেকে দুপুরে ম্যারাথন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন রাঙ্গামাটি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফতেকুর রহমান পিএসসি। সাপছড়ি এলাকা থেকে ৫ কিলোমিটার রাস্তা ম্যারাথন দৌড়ের মাধ্যমে রাঙ্গামাটি আর্মি ষ্ট্রেডিয়ামে এসে শেষ প্রতিযোগিতার। পরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আঞ্চলিক পরিষদের জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।